বলাকা উদ্যানে বিনোদনপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়
ঠাকুরগাঁও শহরে কোনো বিনোদন কেন্দ্র গড়ে না উঠলেও ১০ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লাহাড়ী এলাকায় গড়ে উঠেছে বলাকা উদ্যান নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। সীমিত আকারে শুরু হলেও ঈদের ছুটিতে বিনোদনের একটি জায়গা পেয়ে সেখানে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ।
বলাকা উদ্যানে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিশুদের বিনোদনের জন্য এখানে বসানো হয়েছে নাগরদোলা, ট্রেন, স্লিপার, দোলনা ও জাহাজসহ সাতটি রাইড। আরো দুটি রাইড বসানোর কাজ চলছে। বিকেল হতেই উদ্যানে নামে মানুষের ঢল। দূর-দূরান্ত থেকে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের নারী-পুরুষে উদ্যানটি মিলন মেলায় পরিণত হয়। মা-বাবার হাত ধরে এসব পার্কে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে শিশুরা।
সবচেয়ে ভিড় ছিল শিশুদের নাগরদোলা, ট্রেন ও জাহাজসহ বিভিন্ন রাইডে। শিশুদের পাশাপাশি যুবক-যুবতী, বৃদ্ধরাও উপভোগ করেন উদ্যানের সৌন্দর্য। অনেকে আবার শিশুদের সঙ্গে রাইডে চড়তে বাদ দেননি। শিশুদের রাইডে চড়ে ঈদের আনন্দ শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছিলেন অনেকেই। লাইন ধরে রাইডগুলোর টিকিট সংগ্রহ করার মধ্যে যেন মানুষের বিরক্তির কোনো লক্ষণ ছিল না। রাইডে চড়া ও উপভোগ করার মধ্যে যেন কারো ক্লান্তি নেই।
মা-বাবার সঙ্গে ঠাকুরগাঁও শহরের হাজীপাড়া থেকে বলাকা উদ্যানে বেড়াতে এসেছিল জারিন। জারিন বলে, এখানে এসে ঘুরছি। চড়কি, রেল ও জাহাজে চড়েছি। খুব মজা হচ্ছে।
স্লিপার থেকে নেমে আসার সময় কথা হয় শিশু সাইফের সঙ্গে। সাইফ বলে, সকাল থেকে আব্বু-আম্মুর সঙ্গে শহর ঘুরেছি, এখন পার্কে এসেছি। সবগুলো খেলনায় চড়ার পর তবেই বাড়ি ফিরবো।
ছেলেকে নিয়ে শহরের বসিরপাড়া থেকে বেড়াতে এসেছেন সাদেকুল ইসলাম। তিনি জানান, শহরে ছেলে-মেয়েদের বিনোদনের জন্য একটা শিশু পার্কের দাবি ছিল। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। একটু দূরে হলেও এমন উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানায়।
তন্বী নামে এক শিশু বলে, আমাদের আরো খেলনা দরকার। আর জায়গাটা আরো বড় হলে আমরা আরো মজা করতে পারতাম।
বিনোদন কেন্দ্রের উদ্যোক্তা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৈমুর রহমান বলেন, এলাকার মানুষের বিনোদনের দাবির কথা বিবেচনা করে বলাকা উদ্যানের পরিকল্পনা করা হয়। সীমিত উদ্যোগেই ঈদে মানুষ যেভাবে সাড়া দিয়েছে তাতে আমরা আশাবাদী। আগামী মাস ছয়েকের মধ্যে উদ্যানটি পূর্ণাঙ্গ বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।
রবিউল এহসান রিপন/এসএস/এমএস