কবিরাজের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রী, অতঃপর...
স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের জেরে খুন হতে হলো রংপুরের সেন্ট্রাল রোড শাখার অগ্রণী ব্যাংকের অফিস সহকারী আলাল হোসেনকে (৪০)। বুধবার সকালে নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের দেওডোবা এলাকার একটি সেচ পাম্প ঘরের ভেতর থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আলাল ওই ওয়ার্ডের ডাঙিরপাড় গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী আজেদা, শাশুড়ি ফাতেমা ও বড় মেয়ে আশিকী আক্তারসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত আলালের বড় ভাই আতোয়ার জানান, স্ত্রী আজেদা পারভীনের পরকীয়া প্রেম নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো আলালের। আজেদা ২-৩ বার স্বামীর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও গিয়েছিলেন। প্রায় চার মাস আগে আলাল দেওডোবা কুড়ারপাড় এলাকায় জমি লিজ নিয়ে মাছ ও গরুর খামার করে সেখানেই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছিলেন। সোমবার পার্শ্ববর্তী পাঠানপাড়া এলাকার এক কবিরাজের সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন আলাল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর আজ তার মরদেহ পাওয়া গেল।
স্থানীয় ও স্বজনদের দাবি, মঙ্গলবার রাতে আলালকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-এ) সাইফুর রহমান বলেন, আলালকে হত্যা করে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জিতু কবীর/এফএ/জেআইএম