পুলিশের আঙুল কেটে পালাল আসামি
নওগাঁর মহাদেবপুরে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। হামলায় পুলিশের এএসআই রায়হান আলী গুরুতর হন। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নওগাঁ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের বিরমগ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন- উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন (৬০), স্ত্রী রুবি (৪০), বিরমগ্রামের মৃত হযরত আলীর স্ত্রী রোবিনা বিবি (৪৫), ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩০) ও দেলোয়ার হোসেন (২০), খাইরুল ইসলামের ছেলে সাজু (৩৫) ও দছির উদ্দিনের ছেলে আসলাম হোসেন (৪৫)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, রাতে হাবিবুর রহমানকে (৩৩) গ্রেফতার করতে যায় উপজেলা মাতাজি পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রায়হান আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ সময় আসামি হাবিবুরকে বাড়ি থেকে আটক করে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে নিয়ে আসার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে সে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে এএসআই রায়হান আলী আহত হলে আসামি হাবিবুর হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় পালিয়ে যায়। এসময় রায়হান আলীর হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে ঝুলে পড়ে।
পরে সংবাদ পেয়ে মহাদেবপুর থানার অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরতর আহতবস্থায় এএসআই রায়হানকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাত জনকে আটক করে।
উপজেলা মাতাজি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আজিজুর রহমান বলেন, হাবিবুর রহমান এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সোমবার নওগাঁ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আব্বাস আলী/এফএ/জেআইএম