ঈশ্বরদী ৫০ শয্যা হাসপাতালে জনবল সংকট
৩১ থেকে ৫০ শয্যায় ঈশ্বরদী হাসপাতালের সম্প্রসারণ করা হলেও সমস্যার কোনো শেষ হয়নি। এখনো এখানে কনসালটেন্ট, ডাক্তার ও নার্স সংকটের কারণে অতিরিক্ত রোগীদের কাঙ্খিত সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার কিছুটা উন্নয়ন হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিয়মকানুন মানতে সময় লাগায় ব্যবস্থাপনার কাঙ্খিত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। ঈশ্বরদী হাসপাতালের দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ঈশ্বরদী হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয় ৩১ শয্যা দিয়ে। দীর্ঘদিন থেকে ডাক্তার সংকটসহ নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছিল। সে সময় ১৪ জন ডাক্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে রোগীর চাপ ও বেশি সেবা প্রদাণের প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় বর্তমান সরকার হাসপাতালটিকে সম্প্রসারণ করে সম্প্রতি জরুরি ভাবে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে। এ অবস্থায় ৫০ শয্যার জন্য ২৯ ডাক্তার প্রয়োজন হলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৪ জন। এর মধ্যে ৪ জন কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মেডিসিন, সার্জারি ও আরএমও পদ শুন্য রয়েছে।
অন্যদিকে হাসপাতালটিকে সম্প্রসারণ করা হলেও নার্স ও আয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়নি। ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য বরাদ্দকৃত নার্স ও আয়াদেরকেই ৫০ শয্যার হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নানা প্রকার রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওযায় ডাক্তার ও নার্সদের কাঙ্খিত সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
সূত্র মতে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমনিতেই স্বল্প সংখ্যক ডাক্তার ও নার্সদের দিয়ে রোগীর চাপ সামাল দিতে যেখানে হিমসিম খেতে হচ্ছে সেখানে পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নতুন নতুন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমীন আহমেদ খান জানান, বর্তমান সরকারের আন্তরিকতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার কিছুটা উন্নয়ন হয়েছে । ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ে সংকট পূরণের বিষয়টি সরকারের প্রক্রিয়াধীন থাকায় বিদ্যমান সংকট অব্যাহত রয়েছে।
আলাউদ্দিন আহমেদ/ এমএএস/পিআর