খাস জমি থেকেও নেই
পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় অনেক সরকারি খাস জমি থাকলেও প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে তা বন্দোবস্ত দেয়া হচ্ছে না। তার উপর আবার প্রভাবশালী জোতদারদের হুমকির মুখে আতঙ্কে বসবাস করছে শত শত ভূমিহীন অসহায় পরিবার। এছাড়া সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার ক্ষেত্রে নীতিমালা লঙ্ঘন করে অনেক সময় ধনাঢ্য ব্যক্তিদের এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলায় মোট খাস জমির পরিমাণ ৯২ হাজার ৮৬২ দশমিক ০১ একর। এরমধ্যে বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি জমির পরিমাণ ৪ হাজার ৬০.৭০ একর এবং বন্দোবস্তযোগ্য অকৃষি জমির পরিমাণ ৭৫.৫০ একর। তবে এরপরও শত শত পরিবার এখনও ভূমিহীন হিসেবে বসবাস করছে জেলার বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন চরে। এসব পরিবারগুলো মাথাগোঁজার একটু ঠাঁই পাবার আশায় বছরের পর বছর জনপ্রতিনিধি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বারান্দায় ঘুরলেও কোনো ফল পায়নি।
এদিকে প্রতিবার সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার উদ্যোগ নিলেই জেলায় সক্রিয় হয়ে ওঠে একাধিক দালাল চক্র। তারা যেমন ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নামে বেনামে জমি পাইয়ে দেয়, তেমনি জমি বন্দোবস্ত দেয়ার নামে অসহায় ভূমিহীনদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নেয়। অভিযোগ আছে এই চক্রের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের গোপন আঁতাত রয়েছে।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর ওয়াডেল গ্রামের বাসিন্দা ছোবাহান প্যাদা বলেন, চর ছেড়ে আমরা যেতে চাই না। চরে যে খাসজমি পড়ে আছে, সেখানে সরকার যদি সকল নিঃস্ব ভূমিহীন পরিবারকে বাঁচার ঠিকানা করে দেয় তাহলে আমরা বাঁচতে পারি।
গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা তোফাজ্জেল বলেন, খাস জমি প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দেয় না। এলাকায় প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে ভয় আর আতঙ্কে বসবাস করছে শত শত ভূমিহীন অসহায় পরিবার।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান বলেন, প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাছাই বাছাই এবং প্রকৃত ব্যক্তিদের জমি ও আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/এমএস