ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অপহরণকারীদের পক্ষ নেয়ায় যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ১০:৫৯ এএম, ২৪ জুলাই ২০১৫

পাবনার সুজানগর উপজেলার চরপাড়া মালঞ্চি গ্রামে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা  দানেজ সেখের (৩০) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে পাবনা মেডিকেল কলেজ থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা গেছেন।

তিনি চরপাড়া মালঞ্চি গ্রামের কিয়ামুদ্দিন ওরফে কেরু সেখের ছেলে ও সাগরকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ছিলেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপরে একদল দুর্বৃত্ত বাঘুলপুর গ্রামের জনৈক লিয়াকত সরদারের বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে তার মেয়ে স্কুলছাত্রী মদিনা খাতুনকে (১৫) জোর করে মাইক্রোবাসে তোলে।  মেয়ের বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে গ্রামবাসী এসে পথ রোধ করে মাইক্রোবাসসহ ৪ অপহরণকারীকে চরপাড়া মালঞ্চি গ্রামের একটি স্কুলে আটকে রাখে।  এ সময় গ্রামবাসী তাদের মারতে উদ্যত হলে যুবলীগ নেতা দানেজ সেখ অপহরণকারীদের পক্ষ নিয়ে তাদের বাধা দেয় ও পুলিশে খবর দেয়।  পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চার অপহরণকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনার জের ধরে স্থানীয়দের সঙ্গে দানেজ সেখের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।  এরই এক পর্যায়ে ওই গ্রামের আব্দুল গফুরের নেতৃত্বে একদল লোক দানেজকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরতর আহত করে।  গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।  রাজশাহীতে নেয়ার পথে বেলা ১২টার দিকে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।  

স্থানীয়রা জানান, আব্দুল গফুরের সঙ্গে যুবলীগ নেতা দানেজ সেখের আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল।  সেই সূত্র ধরে আব্দুল গফুর সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রামবাসীকে উস্কে দিয়ে তাকে পিটুনি দেয়।  

এ ঘটনায় আমিনপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মফিজুর রহমান জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।  

এ ব্যাপারে নিহতের মা নাসিমা খাতুন বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

একে জামান/এমএএস/পিআর