চায়ের দোকানে পাল্টেছে রোকেয়ার জীবন
রোকেয়া বেগম (৪৫)। দুই সন্তানের জননী তিনি। এ পরিবারের বসবাস পটুয়াখালীর মাছ ঘাট এলাকায়। স্বামী সেলিম মিয়া অসুস্থ। এরমধ্যে বাসা-ভাড়া আর পরিবারের ব্যয় সামলাতেই দিশেহারা ছিলেন রোকেয়া। তবে এ স্বত্তেও নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। এ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার প্রচেষ্টাও কম ছিল না তার। প্রচেষ্টা আর প্রতিবেশীদের পরামর্শে ১৯৯৮ সালে চায়ের দোকান দেন তিনি। আর ওই দোকান পাল্টে দিয়েছে তার জীবনধারা। তাইত সমাজে তিনি আজ এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।
রোকেয়া বেগম বলেন, সকাল ৬টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত খোলা রাখেন তার দোকান। চা বিক্রির মাধ্যমে গড়ে মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা আসে। নিজের পরিশ্রমে গড়ে তুলেছেন একতলা বিশিষ্ট ভবন সেটা থেকেও টাকা উপার্জন করছেন তিনি।
তার দুই সন্তানের মধ্যে ২০ বছর বয়সে মারা গেছেন এক সন্তান। বর্তমানে এক ছেলে বেঁচে আছে। রোকেয়ার দুই নাতী, ভাতিজি, ভাগ্নিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নারী চায়ের দোকান করে নিজেদের জীবন পরিবর্তনে সচেষ্ট রয়েছেন।
একই এলাকার চা বিক্রেতা মঞ্জু রানী বলেন, চাচীর দেখাদেখি আমিও চায়ের দোকান দিয়ে আমার সংসারে শান্তিতে আছি।
এ সময় চায়ের দোকানের ক্রেতা দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, পটুয়াখালী শহরের মধ্যে রোকেয়া চাচীর চা সব থেকে ভালো। সবাই তার চায়ের জন্য সিরিয়াল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/জেআইএম