কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে ৩টি রো রো ফেরি পারাপার বন্ধ
মাদারীপুর শিবচরের কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে ডুবোচরে আটকে যাওয়ার আশঙ্কায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের ৩টি রো রো ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কাওড়াকান্দি ঘাট ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম জাগো নিউজকে জানান, কাওড়াকান্দি ঘাটে এখনো যাত্রীবাহী পরিবহনের তেমন একটা চাপ নেই। স্পিডবোট ও লঞ্চে যাত্রীদের চাপ থাকলেও ফেরিগুলোতে রয়েছে যানবাহন সঙ্কট। তবে ডুবোচরে আটকে যাওয়ার শঙ্কায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে ৩টি রো রো ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি ও ঘাট সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে ঢলের সঙ্গে নেমে আসা পলি জমে গত কয়েকদিন ধরে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটের লৌহজং টার্নিংয়ের ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ডুবোচর পরে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দেয়।
ঈদের আগের দিন ২টি রো রো ফেরি প্রায় ৬ ঘণ্টা ডুবোচরে আটকে ছিল। পলি পড়ে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দেওয়া এ রুটের ৩টি রো রো ফেরি দিয়ে ভারি যানবাহন পারাপার আপাতত বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও গত ৩ দিন ধরে নাব্যতা সঙ্কট এড়াতে ২টি ড্রেজার বসানো হয়েছে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ৩টি রো রো ফেরিই পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিঞা আরো বলেন, লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের হাজরা চ্যানেল মুখে পানি খুবই কম। রো-রো ফেরি চলাচলের জন্য তা পর্যাপ্ত নয়। ফেরির তলদেশ প্রায় মাটিতে ঠেকে যায়। বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনোমতে রো-রো ফেরি এই চ্যানেল পার হয়েছে। ফেরি লোড থাকলে চ্যানেলমুখ পার হওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। ফলে বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রো-রো ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। চ্যানেল মুখে খননকাজ চলছে। আশা করি খুব শীঘ্রই রো-রো ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বিষয়টি মেরিন কর্মকর্তা আহমেদ আলী নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, তিনটি রো-রো ফেরি বন্ধ থাকলেও যানবাহন ও যাত্রী নির্বিঘ্নে পারাপারের সুবিধার্থে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া রুটে দুইটি নতুন ফেরিসহ ১৭টি ফেরির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
একে এম নাসিরুল হক/এমজেড/আরআইপি