শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, ছাত্রলীগ নেতার আত্মহত্যার চেষ্টা
এক স্কুল শিক্ষিকাকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রেজাউল ইসলামকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়েছে।
রেজাউলের স্ত্রী মমতাজ মমো জাগো নিউজকে বলেন, সম্প্রতি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রেজাউল শারীরিক ও মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রায় ১ মাস বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
এর মধ্যে এক স্কুল শিক্ষিকা রেজাউলের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মাগুরা আদালতে মামলা করেন। এ ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েন। বৃহস্পতিবার বাড়ির একটি কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
রেজাউলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুল শিক্ষিকা একটি ব্যাংকে চাকরিপ্রার্থী হয়ে রেজাউল ইসলামের কাছে গেলে বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে রেজাউল।
পরবর্তীতে রেজাউল তাকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ে করে। যে কারণে প্রতারিত হয়ে ওই শিক্ষিকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে রেজাউলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে মামলা করেন। বিষয়টি তদন্তাধীন।
এদিকে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টায় গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় দুপুর ১টার দিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হয় রেজাউলকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় পাঠানো হয়।
রেজাউলের বিষয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সুশান্ত বিশ্বাস জানান, তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তবুও পরিবারের আগ্রহে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, রেজাউল ইসলাম ২০১৭ সালের ৮ মে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আগ পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তার আত্মহত্যার বিষয়টি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
আরাফাত হোসেন/এএম/আইআই