পুলিশপুত্র খুনের নেপথ্যে প্রেম!
প্রেমিকার ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছিল পুলিশপুত্র নাজমুল হোসেন সাকিব। পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাকিবকে হত্যা করে প্রেমিকার ভাই।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরের বকচরা এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে কথা কাটাকাটির পর বাড়িতে ফেরার পথে রাতে পরিকল্পিতভাবে সাকিবের ওপর হামলা চালানো হয়।
গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সাকিব। জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন নিহতের চাচাতো বোন জেসমিন আক্তার।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আ. রহিম বাবু জানান, মাহিয়া বলে যে মেয়েটির সঙ্গে সাকিবের সম্পর্ক রয়েছে মারপিট করার সময় তার ভাইসহ সেখানে অনেকেই উপস্থিত ছিল।
নিহত নাজমুল হোসেন সাকিব (১৫) শহরের পুলিশ লাইনস স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ও পুলিশ কনস্টেবল নজরুল ইসলাম এবং সায়রা বেগমের একমাত্র ছেলে।
এছাড়া আহত অপর জনের নাম রাশেদ। সে শহরের রসুলপুর গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য আব্দুল আজিজের ছেলে। সে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সাকিব ও রাশেদ পুলিশ লাইনস স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বকচরা মাদরাসায় মাহফিল শুনতে যায় তারা। সেখানে কামালনগর কলোনির আব্দুল কাদের ও একই এলাকার শান্তর সঙ্গে প্রেম-সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়।
বিষয়টি সেখানেই সমাধানের পর মাহফিল শুনে বাড়ি ফেরার পথে বকচরা বাইপাস সড়কে পৌঁছালে কাদের ও শান্তসহ তাদের কয়েকজন সঙ্গী সাকিব, রাশেদ ও অমির ওপর হামলা করে। এ সময় গাছের ডাল দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি পেটানো হয়। এতে সাকিব ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত হয় রাশেদ। দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যায় অমি।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা পুলিশ কনস্টেবল নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ জাগো নিউজকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কামালনগর এলাকার রনি হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া আদালতে রনি হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি মারুফ আহম্মেদ বলেন, প্রেমঘটিত বিষয়টি রনি স্বীকার করেনি। তবে বলেছে খেলাধুলার বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া ছিল। এছাড়া ওয়াজ মাহফিল শুনতে গিয়েও তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। প্রেমঘটিত কোনো বিষয় আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আকরামুল ইসলাম/এএম/জেআইএম