বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, আবারও ডেকে প্রেমিক ধরা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বন্ধুদের দিয়ে গণধর্ষণ করিয়ে সেই ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেছে প্রতারক প্রেমিক। এ ঘটনায় ওই প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার দুই দিন পর মঙ্গলবার বিকেলে প্রেমিকার ছিনিয়ে নেয়া গহনা ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে আবারও ওই তাকে মোবাইলে ডাকে প্রতারক প্রেমিক। পরে প্রেমিকা তার পরিবারের সহায়তায় এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ধর্ষক আরিফকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় তিন ধর্ষকের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী তিন ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের রাখালশাহ পাড়ার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৫) একই উপজেলার নতুন তেঁতুলিয়ার গ্রামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
গত রোববার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা দিয়ে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরছিল। ওদিন বিকেলে প্রেমিক আরিফ দেখা করার কথা বলে মোবাইলে তাকে ডেকে নেয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করার পর তারা খয়েরহুদা গ্রামের মাঠপাড়ায় যায়। ওখানে একটি ভুট্টাখেতে দুই বন্ধু একই গ্রামের আজিল হোসেনের ছেলে জুয়েল (২৩) ও আব্দুর রশিদ দেওয়ানের ছেলে সিরাজুলসহ (২৮) তিনজনে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার গহনা নিয়ে যায় ধর্ষকরা।
ঘটনার দুই দিন পর স্বর্ণের গহনা ফেরত দেয়ার কথা বলে আবারও ওই তরুণীকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ব্রিজের কাছে দেখা করতে বলে আরিফ। মঙ্গলবার বিকেলে তরুণী পরিবারের সহায়তায় লক্ষ্মীপুর ব্রিজের ওপর গেলে এলাকাবাসী ধর্ষক আরিফকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
দুই বন্ধুকে নিয়ে পরিকল্পিকতভাবে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে স্বীকার করেছে ধর্ষক আরিফ।
জানতে চাইলে জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। গ্রেফতার আরিফকে বুধবার চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জুয়েল ও সিরাজুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
সালাউদ্দিন কাজল/এএম/জেআইএম