ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ প্রশ্নফাঁসের সমাধান নয় : জাফর ইকবাল

নিজস্ব প্রতিবেদক | সিলেট | প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ বা পরীক্ষার আগে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা কোনটাই সঠিক সমাধান নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ, লেখক ও অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁসের মূল কারণ উদঘাটন করে এর সমাধান করাটাই সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটের মিরের ময়দানে আঞ্চলিক বেতার ভবনে বিশ্ব বেতার দিবস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ প্রবীণ শিক্ষক বলেন, ইন্টারনেট বন্ধের কথা না ভেবে প্রয়োজনে বিজি প্রেসে প্রশ্ন না ছাপিয়ে বিকল্প উপায়ে প্রশ্ন ছাপানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

জাফর ইকবাল বলেন, এভাবে প্রশ্নফাঁস চলতে থাকলে এদেশে শিক্ষার কোনো গুরুত্ব থাকবে না। সরকারকে এগুলো বন্ধ করতে হবে। প্রশ্নফাঁস নিয়ে আমি শহীদ মিনারে বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলন করেছি, তখন প্রশ্নফাঁসের কথা স্বীকারও করা হয়নি। এখন স্বীকার করা হচ্ছে। কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

তিনি অারও বলেন, কিভাবে প্রশ্নফাঁস রোধ করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দিতে হবে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রতিটি বিষয়েই পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্ন এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরীক্ষা শুরুর ২৪ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা আগে প্রশ্নগুলো আপ করা হয় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে।

যারা সামাজিকমাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস করেছে, তারা রীতিমতো মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগের আহ্বান জানিয়ে আসছে। এমনকি তাদেরকে কিছু করা যাবে না বলেও সামাজিক মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ দিয়ে আসছে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি প্রশ্নফাঁসকারীদের ধরতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী, ব্যাংকার, অভিভাবকসহ গ্রেফতার হয়েছেন শতাধিক।

পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রোধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বাধা দিতে পরীক্ষা শুরুর সময় আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। তবে তা পরে বাতিল করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, প্রশ্নফাঁস বন্ধে পর্যায়ক্রমে এমসিকিউ তুলে দেয়ার কথা ভাবছেন তারা।

ছামির মাহমুদ/এএম/আরআইপি

আরও পড়ুন