নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে
মিয়ানমারের পরিবেশ অনিরাপদ হওয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্ব হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, নিপীড়িত হয়ে যারা আশ্রিত হয়েছে তাদের পুনরায় অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়া যায় না। তাই নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের অপেক্ষা করছি আমরা।
সোমবার কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে সম্পৃক্ত করে চুক্তি হয়েছে। আন্তর্জাতিক এ সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের এমনভাবে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে যাতে তারা সেখানে নিরাপদে বাস করতে পারে। তাড়াহুড়া করলে এ পরিস্থিতি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৩২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দুপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। এ সময় প্রতিনিধিরা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান জিন লামবারট জানান, মিয়ানমারের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক মহল মনে করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর পরিস্থিতি তৈরি করবে মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি কোনোভাবে রোহিঙ্গাদের অনুকূলে নয়। নিপীড়িত হয়েই রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন জেমস নিকলসন, রিচার্ড করবেট, ওয়াযিদ খান,সাজ্জাদ করিম, মার্ক তারাবেলা প্রমুখ।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী- গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে এখন বাংলাদেশে ১০-১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/আইআই