আম্মারে মাইরো না
‘আম্মারে মাইরো না, একথা কইলে আমারে লাথি মাইরা চৌকি থেকে ফালাইয়া দেয় আব্বা’ কথাগুলো বলছিল রীনা বেগমের সাত বছরের শিশু কন্যা আফিয়া। কথা বলার সময় শিশুটির দুই চোখে পানি গড়িয়ে পড়ছিল।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ ইউনিয়নের গামারিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে পরকীয়া সন্দেহে গৃহবধূকে কাপড় কাটা কাঁচি দিয়ে বুক, পেট ও পিঠে ১০/১৫টি উপর্যুপরি আঘাত করে নির্মমভাবে খুন করেছে পাষণ্ড স্বামী।
নিহত রানী বেগম (২৬) দেওয়ানগঞ্জ গামারিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহর স্ত্রী। তিনি পার্শ্ববর্তী ইসলামপুর উপজেলার কাচিহারা গ্রামের ইনছার আলীর মেয়ে এবং ৭ বছরের শিশুকন্যা আফিয়ার জননী।
নিহত রানী বেগমের বাবা জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই দর্জির কাজ করতো। তাদের মধ্যে কোন ঝগড়া বিবাদ ছিল না। কেন হঠাৎ এমন করলো বুঝতে পারছি না।
আফিয়ার বরাত দিয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আব্দুল লতিফ জানান, শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে আব্দুল্লাহ তার স্ত্রীকে উপর্যুপরি আঘাত করে খুন করেছে। ঘটনাটি আফিয়া দেখে ফেলায় তাকেও লাথি দিয়ে ফেলে দেয়।
ওসি জানান, রোববার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘাতকের বাবা কদ্দুস, মা ফুলমতি, প্রতিবেশী চাচা গোলাম রহমানকে থানায় আনা হয়েছে। ঘাতক স্বামী আব্দুল্লাহ পলাতক। খুনের বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এএম/এমএস