বি. বাড়িয়ায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল ভাঙচুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলয় (০৬) নামের এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা সদর হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে রোগীর স্বজনরা। মঙ্গলবার দুপুর পৌণে ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহাগ ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম টিটু।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের দারোগাবাড়ির আবুল কালাম আজাদের শিশু সন্তান নিলয় বাড়ির দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আশরাফুল হক শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানোর নিদের্শ দেন।
চিকিৎসকের কথামতো রোগীর স্বজনরা শিশুটিকে নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য জেলা সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে উঠেন। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স চালক হুমায়ূন ঢাকায় যেতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এরপর কিছুক্ষণ বাক-বিতণ্ডা শেষে শিশুটিকে অন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সে উঠানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজনরা জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
এসময় সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটিও ভাঙচুর করা হয়। খবর পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রানা নুরুস শামস জাগো নিউজকে জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তিন রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং হাসপাতালে ভাঙচুরকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি মামলা দায়ের করতে চায় তাহলে মামলা নেওয়া হবে।
আজিজুল আলম সঞ্চয়/এসএস/পিআর