আইভীর অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি পুলিশ
নারায়ণগঞ্জের ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তিন দিনেও মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করেনি পুলিশ।
পুলিশ বলছে, তারা অভিযোগটি তদন্ত করে দেখছে। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে এটি মামলা হিসেবে নেয়া হবে। সোমবার রাতে সিটি কর্পোরেশনের আইন কর্মকর্তা জিএমএ সাত্তার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, মেয়র আইভীর ওপর হামলার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এমপি শামীম ওসমানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় মামলা নিতে গড়িমসি করছে পুলিশ। মেয়রকে হত্যাচেষ্টায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ গুলি করা হয়। এরপরও কেন পুলিশ মামলা নিচ্ছে না তা নিয়ে আইভীপন্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই অভিযোগে অস্ত্রধারী নিয়াজুলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৯০/১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ অভিযোগে আসামি করা হয়েছে- মহানগর আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাসির উদ্দিন ওরফে টুন্ডা নাসির, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন, আওয়ামী লীগ নেতা চঞ্চল মাহমুদ ও যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব।
নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তফিজুর রহমান জানান, মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি হকার বসানো নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে মেয়র আইভী ও এমপি শামীম ওসমান সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় সিটি মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়।
সেদিন শামীম ওসমানের সমর্থকদের হামলায় মানবঢাল তৈরি করে আইভীকে রক্ষা করতে দেখা যায়। ঘটনার দুইদিন পর আইভী ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হয়।
শাহাদাত হোসেন/এএম/আরআইপি