ডাব খাওয়ার কথা বলে সন্তানকে পুঁতে ফেললেন বাবা
পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশু মামুনকে (১১) নাক-মুখ চেপে ধরে হত্যা করা হয়েছে বলে লক্ষ্মীপুর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার সৎ বাবা মাকসুদ ওরফে মাসুদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিকেলে আসামি মাসুদ (২৮) লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মুনছুর আহমেদের কাছে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের নির্মম বর্ণনা দেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সদর মডেল থানায় নিহতের মা রাহিমা আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত শিশুর মায়ের বর্তমান স্বামী মাসুদকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। মাসুদ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার চৌপল্লী গ্রামের হাছানের ছেলে।
মাসুদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, মামুন দুষ্টু স্বভাবের ছিল। তাকে নিয়ে তার মা রাহিমা আক্তার সুমি ও সৎ বাবা মাসুদের পারিবারিক কলহ চলছিল।
রোববার রাত ১১টার দিকে মামুনকে টুমচর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদরাসায় ওয়াজ মাহফিল থেকে ডাব খাওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়া হয়।
এ সময় পাশের ফসলের খেতের পানি নিষ্কাশনের নালার মধ্যে মামুনকে নাক-মুখ চেপে ধরা হয়। একপর্যায়ে সে নিস্তেজ হয়ে পড়লে মাটিতে উপুড় করে চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে বাবা। পরে মরদেহ ওপর লতাপাতা দিয়ে ডেকে রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সদর উপজেলার মধ্য টুমচর গ্রাম থেকে শিশু মামুনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মামুনের সৎ বাবা মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়।
কাজল কায়েস/এএম/আইআই