চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা, আসামিদের পরীক্ষার দিন ধার্য
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলাটি আদালতে ৯ম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আসামিদের পরীক্ষার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।
এতে সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাইয়্যুম খান সিদ্দিকী। এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আগামী ২৮ জানুয়ারি ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষার দিন ধার্য করেন।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি একেএম মো. নাছিমুল আখতার জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। ৯ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলে দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত। এ সময় সাক্ষ্য দেন মামলার সাক্ষী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা কাইয়্যুম খান সিদ্দিকী।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আগামী ২৮ জানুয়ারি ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষার দিন ধার্য করেন। এরই মধ্য দিয়ে মোট ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সহায়তায় ছিলেন- বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে রূপার মরদেহ ফেলে রেখে যায়।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত নারী হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে রূপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে রূপার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করে।
গত ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে।
আরিফ উর রহমান টগর/এএম/এমএস