চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যা, পঞ্চম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলাটি আদালতে পঞ্চম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। এতে সাক্ষ্য দেন মোট তিনজন।
এ সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথমে সাক্ষ্য দেন মামলার সাক্ষী লিটন মিয়া, দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন মো. হযরত আলী, তৃতীয় সাক্ষ্য দেন রুবেল মিয়া। আগামীকাল মঙ্গলবারও এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ পিপি একেএম মো. নাছিমুল আখতার জানান, মঙ্গলবার পৌনে ১২টায় টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। পঞ্চম দিনের এ সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম পর্ব চলে বেলা ১১টা ৪৫মিনিট থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এতে মোট তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার ডা.সহ পাবলিকের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে আদেশ দেন আদালতের বিচারক। এর আগে গত বুধবার প্রথম সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলাম। রোববার সাক্ষ্য দেন চারজন। গত মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেন মোট তিনজন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সহায়তায় ছিলেন- বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে রূপার মরদেহ ফেলে রেখে যায়।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত নারী হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে রূপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে রূপার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করে।
গত ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে।
আরিফ উর রহমান টগর/এএম/আইআই