বন্ধুকে হত্যার পর স্ত্রীর সহযোগিতায় রান্না ঘরে দাফন
রংপুরের কাউনিয়ায় নিখোঁজের ২৭ দিন পর সিরাজুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার হক বাজার মালিয়াটারী এলাকার ফরিদ হোসেনের (৩৭) বাড়ির রান্না ঘরের মাটি খুঁড়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সিরাজুল মালিয়াটারী কানাটারী গ্রামের মফেল উদ্দিলের ছেলে। এ ঘটনায় ফুল বাবুর ছেলে ফরিদ ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১০টার দিকে সিরাজুল মোবাইলে তার বন্ধুর ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে হক বাজারের উদ্দেশে বের হয়ে যান। এরপর আর ফিরে আসেননি। ওইদিন থেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি, হাসপাতালসহ বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় ১৯ ডিসেম্বর সিরাজুলের ভাই সেরেকুল ইসলাম থানায় একটি জিডি করেন।
পরে কাউনিয়া থানা পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে নিহত সিরাজুলের বন্ধু ফরিদ হোসেনের বাড়ি থেকে শনিবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে।
কাউনিয়া থানা পুলিশের উপ-পরদর্শক (এসআই) সুলতান আলী জানান, নিহত যুবক পেশায় দাদন ব্যবসায়ী ছিলেন। শুক্রবার রাতে ফরিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। পরে তার স্ত্রী মিনি আক্তার মিষ্টিকে (২৫) গ্রেফতারের পর তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার নিখোঁজ সিরাজুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মূলত দাদনের টাকার জের ধরে ফরিদ ও তার স্ত্রী তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রথমে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার পর তার মরদেহ রান্না ঘরের মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখে।
নিহতের বাবা মফেল উদ্দিন বলেন, তার ছেলে দাদন ব্যবসায় জড়িত। দুর্বৃত্তরা মোবাইলে ডেকে নিয়ে সিরাজুলকে অপরহরণ ও হত্যা করতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা কররা হয়েছিল। মফেল উদ্দিন তার ছেলের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানান।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জিতু কবীর/এমএএস/এমএস