মহেশপুরে অধরা গণধর্ষণ মামলার আসামিরা
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সেজিয়া গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের সাত দিনেও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে ঘুরলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
আসামিরা হলেন- উপজেলার নেপা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলীম মেম্বার, তার সহযোগী কামাল ও তরিকুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, গণধর্ষণ মামলার আসামি আলীম মেম্বারসহ তার দুই সহযোগী দিনের বেলা এলাকাতেই ঘুরে বেড়ায়। তবে রাতের বেলায় তাদের দেখা যায় না।
তারা আরও জানান, গত বুধবার সকালে দত্তনগর বাজারে আসামি আলীম মেম্বার, কামাল শেখ ও তরিকুল ইসলাম একই সঙ্গে এক চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। অথচ দত্তনগর বাজারেই পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। এরপরও পুলিশ বলছে - আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে ইউপি সদস্য আলীম মেম্বার এলাকার প্রভাবশালীদের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক ইউপি সদস্য বলেন, আলীম মেম্বারকে আগের মত দেখা যায় না। মামলা হওয়ার পর তাকে মাঝে মধ্যে নেপা ও সেজিয়া বাজারে দেখা যায়। গত রোববার দুপুরে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে ছিল। কিন্তু ওই নারীর ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা শুনে তিনি পালিয়ে যান। তারপর আর দেখা যায়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান, আসামিদের ধরতে প্রতিরাতেই সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। আসামিরা জেলার বাইরে অবস্থান করার কারণে ধরতে একটু সদস্যা হচ্ছে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, গত মঙ্গলাবার রাতে হলদী পাড়া থেকে নেপায় বাড়ি যাওয়ার সময় নেপা ইউপির সদস্য আলীম মেম্বার, তার সহযোগী কামাল ও তরিকুল ইসলাম আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে সেজিয়া গ্রামের তরিকুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে রাতে তরিকুলের সঙ্গে আমাকে বিয়ে দেবে বলে প্রথমে আলীম মেম্বার ও পরে তারা আমাকে সারারাত ধর্ষণ করে। ভোররাতে তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনার পর গত শুক্রবার রাতে ওই নারী মহেশপুর থানায় ইউপি সদস্য সেজিয়া গ্রামের আলীম মেম্বার, কামাল শেখ ও তরিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আহমেদ নাসিম আনসারী/আরএআর/এমএস