মাওলানা সাদ বিতর্ক : প্রভাব পড়েনি ইজতেমায়
আগামীকাল শুক্রবার সকালে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে তাবলিগ জামাতের প্রথম পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে। ইজতেমায় যোগ দেয়ার জন্য বুধবার থেকে দলে দলে মুসল্লিরা আসছেন টঙ্গীতে। ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মুসল্লি ময়দানে এসে পৌঁছেছেন।
বিশ্ব ইজতেমার বাইরে তাবলিগ জামাতের দিল্লির আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ইজতেমা ময়দানে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। মাওলানা সাদকে কেন্দ্র করে বাইরে সৃষ্ট বিতর্ক ও উত্তেজনা ইজতেমা ময়দানের ভেতরে মুসল্লিদের মাঝে কোনো প্রভাব ফেলেনি। আগত মুসল্লিদের যার যার মত নামাজ আদায়, বয়ান শোনা ও ধর্মীয় কাজে মগ্ন থাকতে দেখা গেছে। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত ইজতেমায় মুসল্লিদের আগমন অব্যাহত থাকবে।
ভোলা থেকে ইজতেমায় আসা নজির উদ্দিন নামে এক মুসল্লি জানান, ইজতেমায় আমরা ধর্মের কাজে এসেছি। মুরুব্বিদের ধর্মীয় বয়ান শুনছি। আল্লাহকে রাজি-খুশি করে চলব। কোনো নেতার উদ্দেশ্য হাসিল করতে ইজতেমায় আসিনি।
সম্প্রতি কওমি শিক্ষা নিয়ে ‘বিতর্কিত ‘ মন্তব্যের জের ধরে তাবলিগ জামাতের দিল্লির মুরব্বি মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ভারতের দেওবন্দের আলেমরা। এরই জের ধরে বাংলাদেশেও কওমি আলেমরা তাকে প্রতিহতের ঘোষণা দেন। আসন্ন ইজতেমায় অংশ নিতে গতকাল বুধবার মাওলানা সাদ ঢাকায় এলে বিমানবন্দরেই তাকে প্রতিহতের উদ্দেশ্যে তাবলিগের একাংশ ও কওমিপন্থী আলেমরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তবে বিকেলে বিশেষ পুলিশ পাহারায় তাকে কাকরাইলের তাবলিগ মসজিদে আনা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় টানা ৭ ঘণ্টা মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে।
এদিকে মাওলানা সাদকে সূর্য ডোবার আগেই দিল্লি ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। তাকে ফেরত পাঠানো না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদ চত্বরে নিজেদের বৈঠক শেষে একথা জানান হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফজলুল করিম কাশেমী।
এ অবস্থায় উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষকে নিয়ে দুপুরে বৈঠকে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আগামীকাল শুক্রবার টঙ্গীর তুরাগ নদীর পারে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে।
আমিনুল ইসলাম/আরএআর/জেআইএম