সাঁকোটি তিন উপজেলার মানুষের ভরসা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কামারপাড়া এলাকায় একটি ব্রিজের অভাবে আশপাশের তিনটি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মির্জাপুর-গোমগ্রাম সড়কের ভাওড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া বাজার সংলগ্ন ধলেশ্বরী শাখা নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। বর্ষাকালে এ নদীতে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোতে করে বছরের পর বছরের গ্রামের এসব মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মির্জাপুর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ভাওড়া ইউনিয়নের আমড়াইল তেলিপাড়া, উত্তরে কামারপাড়া, হাড়িয়া, মারিশন, ভাওড়া, শশধরপট্টি, আড়াইপাড়া, বহুরিয়া ইউনিয়নের ছোটগবড়া, বড়গবড়া, ঢাকার ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের চৌহাট, বাঙ্গলা, জাদপপুর, চামুটিয়া তেলিপাড়া, গোমগ্রাম, চানপুর, ধুনট, চুন্যা ও মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার পাকুটিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন মির্জাপুর-গোমগ্রাম ভায়া কামারপাড়া রাস্তায় ঢাকা ও মির্জাপুর সদর এবং সদর হয়ে টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্নস্থানে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। এ সড়কটি অধিকাংশই পাকা হয়ে গেছে। প্রতিদিন শতশত হালকা যানবাহনও চলাচল করছে।
মির্জাপুরের কামারপাড়ার এ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ হলে মির্জাপুর, ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের এক বন্ধন তৈরি করতে পারে।
ছোট গবড়া গ্রামের সিদ্দিক হোসেন বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে এ নদীতে একটি সেতু নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি।
কামারপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আজাহার মিয়া বলেন, ওইস্থানে একটি সেতু নির্মাণ হলে অত্র এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন, কামারপাড়া বাজার সংলগ্ন ধলেশ্বরীর শাখা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ অতি জরুরি। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে নদীর ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এস এম এরশাদ/এমএএস/এমএস