শুধু ভোটের সময় খোঁজ হয়
এক সময় ভালোভাবে চললেও সময়ের বিবর্তনে আর কতিপয় স্বার্থান্বেষী মানুষের কারণে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়ের কালিকাপুর গ্রামের মাড়মি আদিবাসীদের সেই সুখের দিনগুলো হারিয়ে গেছে। একে একে বেহাত হয়ে ৭শ বিঘা থেকে একশ বিঘায় দাঁড়িয়েছে ওদের দেবোত্তর আবাদি জমি। ধুরন্ধর প্রতিবেশীর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাজা দুটি প্রাণ হারিয়েছে। ভয়ে চলে গেছে অনেকে, ৩শ পরিবার থেকে কমে এখন ৫৩ পরিবারে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে তারা।
৩০ বিঘা জমির উপর রয়েছে বিশাল দিঘী। একসময় এই দিঘীর মাছ বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তুু মামলার ভয় দেখিয়ে কিছু প্রতিবেশী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।
বৃদ্ধ ক্লেমেন্ট বিশ্বাস (৭৮) জানান, ৭৮ বছর বয়সে আজও জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। আমরা সবাই শেখের (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বেটি হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিই। কিন্তু সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা আমরা পায়ই না। তাহলে ভোট দিয়ে লাভ কী?
এমনই অভিযোগ করলেন মাগদালিনা বিশ্বাস (৫৩)। তিনি জানান, বয়স্ক ভাতা তো দূরের কথা, বিধবা ভাতাও আমরা পাই না। মেম্বার কোনো খোঁজ নেন না। তারা কেবল ভোটের সময়ই আসেন।
এ ব্যাপারে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বকুল জানান, সর্বোচ্চ এক মাসের ভেতর তাদের বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। বাকিদের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।
আলাউদ্দিন আহমেদ/এফএ/জেআইএম