৫ বছরের মধ্যে এবার সর্বনিম্ন ফলাফল কুমিল্লা বোর্ডে
জেএসসির ফলাফলের দিক থেকে দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের পাসের হারের দিক থেকে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। এ বছর জেএসসিতে সারাদেশে গড় পাসের হার ৮৩.৬৫ শতাংশ হলেও কুমিল্লা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬২.৮৩ শতাংশ। ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৫৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৬ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৮৭৫ জন।
কুমিল্লা বোর্ডের গত ৫ বছরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৩ সালে জেএসসিতে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৬ হাজার ৯৫ জন শিক্ষার্থী। ২০১৪ সালে পাসের হার ৯৩.৭৫ ও জিপিএ-৫ অর্জন করে ১৭ হাজার ২৬৪ জন, ২০১৫ সালে পাসের হার ৯২.৫১ ও জিপিএ-৫ অর্জন করে ২০ হাজার ৭৪৭ জন এবং ২০১৬ সালে পাসের হার ৮৯.৬৮ ও জিপিএ-৫ লাভ করে ১৯ হাজার ১৮৬ জন।
৫ বছরের এ ফলাফলের মধ্যে এ বছর সর্বনিম্ন ফলাফল হয়েছে। ৫ বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ৩০.৯২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ কমেছে ১১ হাজার ৮৭২। এ বোর্ডে শুধু পাসের হার ও জিপিএ-৫ ই কমেনি, কমেছে শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। এ বছর শতভাগ পাস করেছে মাত্র ৬১টি প্রতিষ্ঠান। এর আগে ২০১৩ সালে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩১৪টি, ২০১৪ সালে ৫২৭টি, ২০১৫ সালে ৪৪৫টি ও ২০১৬ সালে ৩৪৮টি।
গত কয়েক বছর ধরে এসএসসি, এইচএসসি এবং এ বছর জেএসসিতে ফলাফলের ধারাবাহিক এমন বিপর্যয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও সুশীল সমাজের লোকজন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, দেশের সকল বোর্ডের তুলনায় কুমিল্লা বোর্ড পর্যায়ক্রমে নিম্নমুখী ফলাফল করে আসছে। এতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও এ বোর্ডের গত এইচএসসি’র ফলাফল প্রকাশের দিন কুমিল্লা বোর্ডের এমন ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চান এবং কারণ খুঁজে তা উত্তোরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। কিন্তু এবার জেএসসি’র ফলাফলেও তাদের মাঝে আরও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
কামাল উদ্দিন/এমএএস/জেআইএম