বাগেরহাট খানজাহান আলী কলেজে দুর্ধর্ষ চুরি
বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহি খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষের কার্যালয়সহ তিনটি অফিস কক্ষের জানালার গ্রিল ভেঙে রহস্যজনক দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতের কোনো এক সময় এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহফুজা খানম জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ আসার আগে আমরা কোনো কিছুতে হাত দেইনি কারণ তাতে চুরির আলামত নষ্ট হতে পারে। দুটি কক্ষের সবগুলো আলমারি ভাঙা এবং সকল কাগজপত্র তছনছ করা হয়েছে। এসব আলমারিতে কলেজের দলিলপত্র থেকে শুরু করে অনেক মূল্যবান কাগজপত্র ছিল। চুরির বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। আমারা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কলেজে রাতে দু’জন নাইট গার্ড পাহারায় থাকা সত্ত্বেও এমন চুরির ঘটনা নানা প্রশ্নের উঁকি দিচ্ছে সাধারণ লোকজনের কাছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে কলেজর পিওন নিত্যদিনের মতো অধ্যক্ষের কার্যালয়ের তালা খোলার পর বিষয়টি নজড়ে পড়ে তার। কলেজের পিওন ননি গোপাল ব্যানার্জি তখনই কলেজের অধ্যক্ষ মাহফুজা খানমকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন। বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ আরো জানান, কলেজে এসে অধ্যক্ষের কার্যালয়, ব্যবস্থাপনা (বিএম ও কারিগরি) শাখার অফিস কক্ষ এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের জানালার গ্রিল ভাঙা দেখতে পেয়েছেন। তবে অধ্যক্ষের কার্যালয়, ব্যবস্থাপনা (বিএম ও কারিগরি) শাখার অফিস কক্ষে থাকা আলমারিতে রাখা সকল কাগজপত্র তছনছ করা অবস্থায় দেখতে পান। আর কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে কলেজের দুটি ল্যাপটপ, একটি ইন্টারনেট মডেম ও মূল্যবান কাগজপত্র খোয়া গেছে বলে ধারণা করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জাগো নিউজকে জানান, কলেজটি সরকারিকরণের জোর প্রক্রিয়া চলছে। ঈদের পর কলেজটিতে পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। আর কলেজটি যাতে সরকারি করা না হয় সেজন্য কোনো মহল পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটালেও ঘটাতে পারে।
এ বিষয়ে বাগেহরাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোজাম্মেল হক জাগো নিউজকে জানান, দু’জন নাইট গার্ড থাকা সত্ত্বেও কলেজে কিভাবে রাতে এ ধরনের চুরি হয় আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। তাছাড়া কলেজের নাইট গার্ড লেয়াকত ও আব্দুর সত্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হবে। এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
শওকত আলী বাবু/এমজেড/এমএস