ভারত থেকে অস্ত্র ও গুলি এনে বনদস্যুদের কাছে বিক্রির স্বীকারোক্তি
সুন্দরবনের বনদস্যু এমদাদ বাহিনীর সদস্য কামরুল ইসলামের স্থলেই একটি বাহিনী রয়েছে। সেই বাহিনী ভারত থেকে অবৈধভাবে অস্ত্র আনার পাশাপাশি জলে-স্থলে ডাকাতি করে চলেছে। এই দলে ১২/১৩ জন সদস্য রয়েছে। দু`টি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলিসহ খুলনার কয়রা থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার বনদস্যু কামরুল ইসলাম (৩০) রিমান্ডে পুলিশকে এসব তথ্য দিয়েছে। মঙ্গলবার তার রিমান্ড শেষ হবে।
তিনি আরো জানান, ভারত থেকে আনা অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিজেদের কাজে ব্যবহার করার পাশাপাশি অন্য দস্যু বাহিনীর কাছেও বিক্রি করছে। শুধু অস্ত্রই নয় সাথে গাড়ির যন্ত্রাংশও তারা পাচার করে আনছে।
কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, কামরুলকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল জানায়, সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা এবং খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি এলাকাকে ঘিরে তাদের একটি বাহিনী রয়েছে। সেই বাহিনীর প্রধান কাজই হলো ভারত থেকে অবৈধভাবে অস্ত্র আমদানি করা। যা সুন্দরবনের বিভিন্ন বনদস্যু বাহিনীর কাছে তারা বিক্রি করে। এছাড়াও খুলনা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় তারা ডাকাতিও করে। বর্তমানে স্থলে ডাকাতি করতে না পেরে সুন্দরবনের বনদস্যু এমদাদ বাহিনীতে যোগ দিতে যাবার সময় সে গেফতার হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, শুক্রুবার রাত ১১টায় উপজেলার বাগালী ইউপির হোগলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কামরুলকে আটক করে। সে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মুড়োগাছা এলাকার জিল্লার রহমানের ছেলে।
আলমগীর হান্নান/এসএস/পিআর