ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আমি ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষিত বেকারদের কান্না দেখছি : যুবলীগ চেয়ারম্যান

জেলা প্রতিনিধি | যশোর | প্রকাশিত: ১১:৩৫ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমার সমালোচনা করে এবার চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা তুলে দেয়ার দাবি জানালেন যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী।

তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষিত বেকাররা। এসব তরুণদের চাকরির আবেদনে যেন বয়স বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। ত্রিশ বছরের কম বয়সীদের কষ্ট সরকার দেখেছে। আমি ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষিত বেকার তরুণদের কষ্ট দেখছি, কান্না দেখছি। চাকরির অভাবে অনেক তরুণ তাদের প্রেমিকা হারিয়েছে। অনেকের বিয়ে ভেঙে গেছে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যশোর সফর ও জনসভা সফল করার লক্ষ্যে রোবববার দুপুরে যশোর টাউন হল ময়দানে যুবলীগের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর রাজধানীর নগর ভবনে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমার সমালোচনা করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বাবা মায়ের কাছ থেকে এসব বেকাররা টাকা নিতে লজ্জা পায়। বয়সের কারণে চাকরিতে আবেদন করতে না পেরে হতাশায় ভুগছে বিপুল জনগোষ্ঠী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে এটা চলতে পারে না। ত্রিশোর্ধ্ব তরুণদের চাকরির আবেদনের সুযোগ দেয়া হোক। তাদের জন্য কারও সুপারিশ লাগবে না। তারা মেধার ভিত্তিতে চাকরিতে ঢুকবে। তাদের সুযোগ দিতে চাকরির আবেদনে বয়সের বাধা উপড়ে ফেলা হোক। মেধা প্রতিযোগিতায় চাকরি না পেলেও অন্তত সান্ত্বনা খুঁজে পাবে তারা।

খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিভ্রান্তকারী খালেদা জিয়া ভুল করেননি। তিনি অপরাধ করেছেন। ভুল আর অপরাধ এক নয়। ভুল করলে ক্ষমা করা যায়। কিন্তু জেনে শুনে অপরাধ করলে ক্ষমার যোগ্য নয়। তাই আগামী সাড়ে ৩ হাজার বছরেও তার অপরাধের ক্ষমা হবে না।

যশোর জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীরর সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, জাতি হিসেবে আমরা সৌভাগ্যবান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতা পেয়েছি। যিনি স্বপ্ন দেখাতে পারেন, আবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতে পারেন। রাজনীতির সফলতার অপর নাম শেখ হাসিনা। যিনি দেশ গড়ার কারিগর।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহাবুবুর রহমান হিরণ, শহীদ সেরনিয়াবাদ, ফারুক হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) আসাদুল হক আসাদ, ইমরান হোসেন খান, ফজলুল হক আতিক, দফতর সম্পাদক কাজী আনিছুর রহমান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপ-প্রকাশনা সম্পাদক বাবলুর রহমান, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঈনুদ্দিন খান।

সভা পরিচালনা করেন- জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু। এতে বক্তব্য রাখেন- যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদস্য মৃণাল কান্তি জোয়ারদার, ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগের সভাপতি আশফাক মাহমুদ জয়, যশোর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মেহেদী হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজহার হোসেন স্বপন, সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক আবদুল মান্নান, যশোর জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ, সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান বাবলু, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান কবির শিপলু, বর্তমান সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, সাধারণ সম্পাদক ছালছাবিল ইসলাম জিসান।

মিলন রহমান/এএম/আইআই

আরও পড়ুন