ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ভারতীয় পোশাকে ছেঁয়ে গেছে জয়পুরহাটের ঈদবাজার

প্রকাশিত: ০৯:১৬ এএম, ১২ জুলাই ২০১৫

ঈদকে সামনে রেখে জয়পুরহাটে ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি-পিসে বাজার সয়লাব। ভারত সীমান্ত ঘেষা জয়পুরহাট জেলা শহরের বিভিন্ন মার্কেট, শপিং মলসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার এলাকার কাপড়ের দোকানে তাই শোভা পাচ্ছে বাহারি সব নানা রং-বেরং ও নানা নামে ভারতীয় শাড়ি (পার্টি জর্জেট, কুচি কাতান) ও থ্রি-পিস (কটকটি,মোদি,কিরণমালা,লং)।

শাড়ির দাম ২ থেকে ২০ হাজার টাকা, থ্রি-পিসের দাম ১ থেকে ১০ হাজার টাকা। নজরকাড়া ডিজাইন আর চাক-চিক্কের ভিড়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন নারী ক্রেতারা। দর-দাম কোনো সমস্যাই নয়, নারী ক্রেতারা শুধু দেখছেন তাদের পছন্দসই থ্রি-পিস বা শাড়ি।

শুধু নারী বা তরুণীরাই নন পুরুষদের পছন্দের তালিকায়ও ভারতীয় খান সাহেব ও ইথোলো পাঞ্জাবির নাম উঠে এসেছে যা তিন হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জয়পুরহাট জেলা শহরের বিশ্বাসপাড়া এলাকার মুক্তা পারভীন, সবুুজনগর এলাকার তনিমা সুলতানাসহ জেলা শহরের বিভিন্ন শাড়ি, থ্রি-পিসের দোকানে পোশাক কিনতে আসা নারী ক্রেতারা জানান, নিত্য-নতুন ডিজাইন আর নানা ধরনের আর্কষণীয় কারুকাজের জন্য ভারতীয় শাড়ি-থ্রি-পিসের প্রতি নারী ক্রেতাদের বেশ দুর্বলতা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিজিবি সদস্য, হিলি স্থলবন্দরের শুল্ক ও ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মচারীরা জানান, ভারতে ঘুরতে যাওয়া দেশীয় পর্যটক, রোগী ও  সীমান্ত এলাকার অনেক পরিধেয় বস্ত্র ব্যবসায়ী ভারত থেকে ফেরার পথে লাগেজে করে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি পিস বাংলাদেশে নিয়ে আসছেন। এছাড়া চোরাকারবারীরা অবৈধ পথে আনছেন এসব বস্ত্র। ফলে নানান ধরনের ভারতীয় শাড়ি-থ্রি পিসে সীমান্ত এ জেলার বাজার এখন ভারতীয় পোশাকে সয়লাব হয়েছে বলে স্বীকার করলেন বস্ত্র ব্যাবসায়ীরা।

dress

জয়পুরহাট চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি আব্দুল হাকিম মণ্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান জয়পুরহাটের বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তারা ।  

ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের বাহারি শাড়ি ও থ্রি-পিস কিনতে বাংলাদেশি নারী ক্রেতাদের উৎসাহ দিতে বেশ ভূমিকা রাখছে বলেও জানান বিক্রেতারা।

জয়পুরহাট শংকর বস্ত্রালয়ের সত্বাধিকারী ডিম্পল আগরওয়ালাসহ জেলার বস্ত্র বিক্রেতারা জানান, দেশীয় কাপড়ের গুণগত মান যথেষ্ট ভালো হলেও যুগোপযোগী ও দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনের কারণে ভারতীয় কাপড়ের প্রতি ক্রেতারা আকৃষ্ট হচ্ছেন। একই কারণে ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তানী বস্ত্রও নজর কেড়েছে এখানকার ক্রেতাদের।

তবে দেশীয় কাপড়েরও রয়েছে ভালো ভবিষ্যৎ। এ অঞ্চলের কাপড় ব্যাবসায়ীরা বলেন, এজন্য প্রয়োজন আমাদের বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত ডিজাইনারদের আরো উন্নত প্রশিক্ষণ। দেশের এ গুরুত্বপূর্ণ শিল্পটির বাজারজাত করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার জন্য বেশি করে প্রয়োজন গণমাধ্যমের জোড়ালো ভূমিকা।

এমজেড/এমএস