একটি শিশুর কাহিনী
একজন মা গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই সন্তানের জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে শুরু করেন। যেন সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে তার পেটের সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পারে। এজন্য উঠা, বসা এবং কী ঘুমানো থেকে শুরু করে সার্বিক বিষয়ে মায়েরা নিজে থেকেই সচেতন হয়ে থাকেন। যেন পেটের মধ্যেও সামান্যতম আঘাত না পায় তার সন্তান।
জন্ম নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখার পর থেকে শুরু হয় তাকে বড় করে তোলার আরেক যুদ্ধ। সার্বক্ষণিক লালন পালন করতে করতে এক সময় মা সন্তানের না বলা ভাষাগুলোও বুঝে ফেলেন। কেন, কি কারণে সন্তানটি কান্না করছে তাও খুব সহজেই অনুমান করেন মা। সন্তানের এক বছর বয়স পর্যন্ত মায়েদের প্রায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। শত ত্যাগ, তিতিক্ষা ও যন্ত্রণার মাঝে তিলে তিলে বড় করে তুলতে হয় একটি শিশুকে।
শত যত্নে বড় করা সেই শিশু যদি মরণব্যধিতে আক্রান্ত হয় তাহলে বেঁচে থাকার আশা হারিয়ে ফেলেন বাবা-মাও। এমনি এক শিশু ফরহাতুল মাহামুদ হাসান। বয়স মাত্র মাত্র ৮ বছর। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখা ২য় শ্রেণিতে পড়ে সে। তারা থাকে রামপুরা-বনশ্রীর জে ব্লকের ৬ নম্বর রোডে।
ফরহাতুল মাহামুদ হাসান দীর্ঘদিন ধরেই হেপাটাইটিস-সি, লিউকোমিয়া ও ই-বিটা থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতিমাসে তাকে ৫ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। ওষুধসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয় তার জন্য।
বাংলাদেশে কিছুদিন তার চিকিৎসা করলেও কোনো লাভ হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেয়া হয় ভারতের চেন্নাইয়ে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা করানোর পর দেশে নিয়ে আসা হয়েছে মাহামুদকে।
সেখানকার ডাক্তার জানিয়েছেন, দ্রুত তার বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন করতে হবে। এজন্য সব মিলে প্রায় ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন।
শিশুটির বাবা সাদেকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মাহামুদের পেছনে ইতোমধ্যে প্রায় কোটি টাকা খরচ হয়েছে। জমি জায়গা যা ছিল একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে সব বিক্রি করে দিয়েছি। ডাক্তার বলেছে চিকিৎসা করলে তাকে বাঁচানো সম্ভব তাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পাশে যদি হৃদয়বানগুলো পেতাম তাহলে হয়তো আমার সন্তানকে পৃথিবীতে আরও কিছুদিন থাকার সুযোগ করে দিতাম।
কেউ যদি অসহায় শিশু ফরহাতুল মাহামুদ হাসানকে সহযোগিতা করতে চান, তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন তার বাবার ০১৮৬৪-২৯১৩২৭ নম্বরে।
এমএএস/আরআইপি