ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রমজানে মেহেরপুরের শসা চাষিদের মুখে হাসি

প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৫

পবিত্র রমজানের কারণে মেহেরপুরের শসা চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। রমজানের আগে যে শসা বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা কেজি দরে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা দরে। চাষিরা বলছেন, বর্তমান বাজারদর অব্যাহত থাকলে লাভবান হবেন তারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেহেরপুরে উৎপাদিত শসার চাহিদা থাকায় প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার শসা সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

প্রতি বছর রমজান এলেই শসার দাম বাড়ে। রমজান চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় শসার দাম। কাঙ্খিত ফলন পেলেও প্রত্যাশিত লাভ থেকে বঞ্চিত হন চাষিরা। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। রমজানের আগে শসা বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা কেজি দরে। রমজান আসার পর পরই প্রতি কেজি শসা বিক্রি হয়েছে কখনো ৩৫ টাকা, আবার কখনো ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। তবে বর্তমানে ভরা মৌসুমে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা দরে। বর্তমান দর অব্যাহত থাকলেও লাভবান হবেন চাষিরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেব মতে এবার জেলায় শসার চাষ হয়েছে ৫০০ হেক্টর জমিতে। যা থেকে ১১ হাজার মেট্রিকটন শসা উৎপাদন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথমে খারাপ আবহাওয়ার কারণে কাঙ্খিত ফলন থেকে বঞ্চিত হলেও এখন শসার ফলনও হচ্ছে ভালো।

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার গোরিনগর গ্রামের চাষি আতাউর রহমান জাগো নিউজকে জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও হচ্ছে ভালো। বিঘা প্রতি জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে দাম অব্যাহত থাকলে বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার শসা বিক্রয় করতে পারবেন তিনি।  

একই উপজেলার মানিকনগর গ্রামের শসা চাষি আব্দুল আলীম জাগো নিউজকে জানান, এখানকার উৎপাদিত শসার চাহিদা বেশ। ভালো চাহিদা থাকায় ক্ষেত থেকেই শসা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ফড়িয়ারা। ফলে তাদের পরিবহন খরচও বেঁচে যাচ্ছে। পাশাপাশি সবজি বাজারের কমিশন ব্যবসায়ীদের কমিশনও দিতে হচ্ছে না।

মেহেরপুরের পাইকারি ব্যবসায়ী আবু হানিফ জাগো নিউজকে জানান, শসা কিনতে দেশের বিভিন্ন জেলার ফড়িয়ারা ভিড় জমাচ্ছেন মেহেরপুরের বাজারে। জেলা থেকে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক শসা চলে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

কৃষিসম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে জানালেন, ভালো বীজ ও সুষম মাত্রায় জৈব সার ব্যবহার করার কারণে এবার শসার ফলন ভালো হয়েছে। তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, যাতে বৃষ্টির পানি জমিতে জমতে না পারে সেজন্য শসা বীজ রোপণের স্থানটি উঁচু হলে আরো ভালো হয়।
 
এমজেড/এমআরআই