রসিক নির্বাচন : চার স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা
আর মাত্র একদিন বাকি। এরপরই শুরু হবে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ ইতোমধ্যে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাও শেষ হয়েছে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, ইতোমধ্যে বেগম রোকেয়া কলেজ নামের একটি কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন বসানো হয়েছে। এছাড়া ওই কেন্দ্রসহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ এই তিনটি কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা।
তিনি জানান, ১৯৩টির মধ্যে ১২৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচনে ৩৬ প্লাটুন বিজিবি, ৫ হাজার পুলিশ, দুই হাজার ৭শ আনসার সদস্য, সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডে ৩৩টি মোবাইল টিম এবং ৩৩টি র্যাবের টিম রয়েছে। এছাড়াও ১৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকায় বসানো হয়েছে ৮টি চেকপোস্ট।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও সিটির ভোটার নয়, এমন বহিরাগতদের মঙ্গলবার মধ্যরাতের আগে সিটির বাইরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হোটেল মোটেলে যাতে কোনো বহিরাগত রাতযাপন করতে না পারে সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে। ভোটের আগে পরে এমনকি ভোটের দিন যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে সেজন্য সজাগ রয়েছে আইন-শঙ্খলা বাহিনী।
এসিটি কর্পোরেশনে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ ও মহিলা ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন। সাতজন মেয়র প্রার্থীসহ সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৫টি জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জিতু কবীর/এফএ/আইআই