বাবা গুরুতর আহত হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক : মালা
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাংসদ গোলাম মোস্তফা আহমেদের সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হতে পারে বলে মনে করছেন তার বড় মেয়ে মুর্শিদা মালা। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাসভবন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ফারাজিপাড়া গ্রামে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
তিনি জানান, গাইবান্ধা থেকে ঢাকা যাবার পথে গাড়িতে আমার বাবার সঙ্গে আরও তিনজন ছিলেন। তাদের কেউ আহত না হলেও শুধু আমার বাবার গুরুতর আহত হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক।
দীর্ঘদিন থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আমার বাবার সুপরিচিতি রয়েছে। কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারেন। তাই আমি ওই সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি সরকারের কাছে তদন্তের আহ্বান জানাই।
গাড়িতে সামনের আসনে ছিলেন চালক মনজুরুল ইসলাম ও সাজা মিয়া। মাঝের আসনে শুয়েছিলেন সাংসদ ও শেষের আসনে রিপন মিয়া। এদের মধ্যে সাজা মিয়া ও রিপন মিয়া কোথাও কোনো অনুষ্ঠান হলে সব সময় সাংসদের সঙ্গে থাকতেন। গাড়িচালক মনজুরুল ইসলাম বুকে আঘাত পান, সাজা মিয়া মাথায় ও নাকে এবং রিপন মিয়া পায়ে আঘাত পান। তাদের কেউই গুরুতর আহত নন। কিন্তু শুধু আমার বাবাই কেন গুরুতর আহত হলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষক পরিবারের সন্তান গোলাম মোস্তফা আহমেদ চারভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট। বাবা আবদুর রহিম ছিলেন কৃষক। গোলাম মোস্তফা আহমেদের দুই মেয়ে ও এক ছেলের সবাই বিবাহিত। দুই মেয়েই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। আর ছেলে চন্ডিপুরে একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। গোলাম মোস্তফা আহমেদ হৃদয় কবিতার গুচ্ছ কথা নামের একটি একক ও একটি ওরা ১১ জন নামের একটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হয়।
গত ১৮ নভেম্বর বিকেলে টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর থেকে গোলাম মোস্তফা আহমেদ ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে মঙ্গলবার ভোররাত চারটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রওশন আলম পাপুল/এমএএস/আইআই