দেশে চাষ হচ্ছে সৌদির খেজুর
সৌদি খেজুরের বাগান তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন মাগুরার শালিখা উপজেলার পুড়া গাছি গ্রামের আলাউদ্দিন হোসেন। দীর্ঘ ৮ বছর পরিচর্যায় গাছগুলোতে এ বছর খেজুর ধরার উপযোগী হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি বাগানের সবুজ রং মানুষের দৃষ্টি কাড়ছে। চলতি মৌসুমে বাগানের কিছু গাছে মোচা ও খেজুর ধরবে বলে আশা করছেন আলাউদ্দিন।
আলাউদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, ২০০৭ সালে স্থানীয় বন বিভাগ থেকে ১ হাজার সৌদি খেজুরের চারা সংগ্রহ করে নিজের বাড়ির পাশের একটি পড়ো জমিতে রোপণ করেন। সেসময় তিনি নিজের মতো করে গাছের পরিচর্যা করতে থাকেন। পরবর্তীতে তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শে খেজুর গাছের যত্ন নিয়ে বিশাল বাগান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে তার বাগানে ৮শর মত খেজুর গাছ রয়েছে।
আলাউদ্দিন মনে করেন, মানুষের ইচ্ছা ও পরিশ্রমই বদলে দিতে পারে তার ভাগ্যের চাকা। সেই উদ্যম নিয়েই তিনি নিরলসভাবে পরিশ্রম করছেন এই বাগানে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জাগো নিউজকে জানান, সৌদি খেজুর সাধারণত মরু এলাকায় ভালো হয়। ফলে আমাদের দেশে এর কাঙ্খিত ফলন পাওয়া কষ্টসাধ্য। তবে আমাদের দেশে উঁচু শুষ্ক জমিতে বিশেষ করে বেলে দোঁআশ মাটিতে এ জাতের চারা লাগালে মোটামুটি ফলন পাওয়া যেতে পারে। শালিখার পোড়া গাছি গ্রামের আলাউদ্দিন হোসেনের লাগানো খেজুর বাগানের মাটি খেজুর চাষের উপযোগী।
এই কর্মকর্তা আরো জানান, ২০০৭ সালে স্থানীয় বন বিভাগের সহযোগিতায় আলাউদ্দিন তার পড়ো এক একর জমিতে চারাগুলো লাগান। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও দীর্ঘ পরিচর্যার ফলে বাগানের চারাগুলো এখন গাছে পরিণত হয়েছে। বাগানটিতে খেজুর ধরা শুরু হলে এলাকার অনেকেই সৌদি খেজুর চাষে আগ্রহ প্রকাশ করবেন বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/এমএস