নালিতাবাড়ীতে পাহাড়ি ঢলে ৩১ গ্রাম প্লাবিত
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়নের ৩১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভোগাই নদীর শিমূলতলা ও খালভাঙ্গা এলাকায় নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় এসব এলাকা প্লাবিত হয়। অন্যদিকে নালিতাবাড়ীর নাকুগাও দুইলেন সড়কের শিমুলতলা এলাকায় ভেঙ্গে যাওয়ায় নাকুগাও স্থলবন্দর সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত দুই দিনের টানাবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের খালভাঙ্গা ও শিমূলতলা গ্রামে ভোগাই নদীর বাধ কাম সড়কের ১৫০ মিটার ভেঙ্গে প্রবল ভেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। প্রবল বেগে পানি ঢুকে সোমবার উপজেলার পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের ৩১টি গ্রাম ফের নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার কৃষক আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
এলাকার কৃষকরা জানায়, টানাবর্ষণ ও পাহাড়ীঢলে উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের গোজাকুড়া, বাঁশকান্দা, কয়ারপাড়, উলারপাড়, মনকান্দা, খলাভাঙ্গা,দক্ষিণ কোন্নগর, ভোগাইরপাড়, মৌলবিপাড়া, নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের, খালভাঙ্গা, খড়করিয়াকান্দা, নলকুড়া যোগানিয়া ইউনিয়নের, কাপাসিয়া, গেড়ামারা, তালুকপাড়া, বাটিগাঙ্গপাড়, কলসপাড় ইউনিয়নের তারাকান্দি, পিপুলেশ্বর, নাকশী, গোনাপাড়া, গোলারপার, গাগলাজানি, বাঘবেড় ইউনিয়নের সন্নাসীভিটা, নয়াপাড়া, রানীগাও, শিমুলতলা, জাংগাইলাকান্দা, পৌরসভার উত্তর গড়কান্দা, গোবিন্দ কালিনগর, চরপাড়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম মুখলেছুর রহমান রিপন জানান, দুই দিনের টানাবর্ষণে নিন্মাঞ্চলে পানি জমেছে। এছাড়াও স্থানীয় ভোগাই নদীর পানি বেড়েছে। তে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভোগাই নদীর পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরিফ ইকবাল জানান, নতুন করে টানাবর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে নালিতাবাড়ী উপজেলার পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়নের ৩ হাহার ৫শ হেক্টর আমন আবাদ তলিয়ে গেছে। এর মধ্যেযোগানিয়া ইউনিয়নে ১২শ হেক্টর, বাঘবেড় ৫শ ৫০হেক্টর, কলসপাড় ৯শ হেক্টর, মরিচপুরান ৬শ হেক্টর ও পৌরসভায় ২শ ৫০ হেক্টর আমন আবাদের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বর্তমানে এসব ক্ষেতের আমন আবাদ কুশি ও থৌর অবস্থায় আছে। ২-৩ দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। কিন্তু এর স্থায়িত্ব বেশি হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানান।