ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গণধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর বন্ধুকে দিয়ে ফের ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক | বরিশাল | প্রকাশিত: ১১:১৫ এএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ইউপি সদস্য শামীম তালুকদারকে (৩৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারের পর বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতার শামীম রাজিহার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও চেঙ্গুটিয়া গ্রামের মজনু তালুকদারের ছেলে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় আট আসামিদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি শামীমকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় নির্যাতিত স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর মুন্না তালুকদার, শামীম তালুকদারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করে। মামলায় শামীম তালুকদারকে আসামি করায় শামীমের বাবা মজনু তালুকদার, মা শেফালী বেগম, শামীমের স্ত্রী সাথী বেগম নির্যাতিত শিক্ষার্থী ও তার মাকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে গত ১৫ অক্টোবর আগৈলঝাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এছাড়া শামীমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিলে শাপলা তুলতে যায় কুয়েত প্রবাসীর মেয়ে গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ও তার বন্ধু লিমন সরদার, নয়ন হাওলাদার ও ফেরদৌস হাওলাদার।

এ সময় মুন্না তালুকদারের নেতৃত্বে ইলিয়াস সরদার, মাইনুদ্দিন, মিজানুর, খবির ও মিলন স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সময় স্কুলছাত্রীর বন্ধুদের বেধড়ক মারধর করে বেঁধে রাখা হয়।

এরপর ধর্ষিতার ওই তিন বন্ধুদের মধ্য থেকে লিমনকে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণে বাধ্য করা হয়। ওই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেন মিলন। এরপর স্কুলছাত্রীর তিন বন্ধুকে জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়।

সাইফ আমীন/এএম/জেআইএম