টেকনাফ স্থলবন্দরে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব কাটছে
রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বিগত তিন মাস রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও নভেম্বর মাসে স্বরূপে ফিরেছে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর। নভেম্বর মাসে ৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের টার্গেট করা হলেও আদায় হয়েছে পৌনে ১০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় যা টাগের্টের চেয়ে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৮ টাকা বেশি। টেকনাফ বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের নভেম্বর মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের টার্গেট ছিল ৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার ২৮ টাকা। যাতে টার্গেটের চেয়ে অতিরিক্ত আয় হয় ২ কোটি ৫৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৮ টাকা।
তিনি জানান, ৩৬৯টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে মিয়ানমার থেকে ৫৯ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার ২২৪ টাকার পণ্য আমদানি হয়েছে। যার বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার ২৮ টাকা। নভেম্বর মাসে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি আগের মাসের চেয়ে বেশি হওয়ায় টার্গেটের বেশি রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
অপরদিকে ৩৮টি বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে এক কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার ৩২৪ টাকার পণ্য মিয়ানমারে রফতানি হয়েছে। এছাড়া নভেম্বর মাসে শাহপরীরদ্বীপ গবাদি পশুর করিডোর দিয়ে ১১ হাজার ৯৬৩টি গরু, এক হাজার ১১১টি মহিষ ও ৭৪টি ছাগল আমদানি হয়েছে। এ থেকে আয় হয়েছে ৬৫ লাখ ৫১ হাজার ৮শ টাকা।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও বন্দর ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ মনির বলেন, দেশের দক্ষিণ সীমান্তের একমাত্র স্থলবন্দর দিয়ে দেশের প্রয়োজনীয় নানা পণ্য আমদানি রফতানি হয়। যা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। কিন্তু রোহিঙ্গা সংকট শুরু হলে এ আয়ে ছেদ পড়ে। এবারের সংকটেও একই অবস্থা নামে টেকনাফ স্থলবন্দরে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সাহসী উদ্যোগ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্দরের রাজস্ব আয় আবারো পুরোনো রূপে ফিরছে।
সায়ীদ আলমগীল/এফএ/এমএস