ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিদ্যুৎহীন এক ক্লিনিক

প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ০৫ জুলাই ২০১৫

বরিশাল নগরীর কালিবাড়ি রোডে অবস্থিত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ইনস্টিটিউট (এফডব্লিউভিটিআই) ও ২০ শয্যার মা ও শিশু কল্যাণ ক্লিনিক ১০ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন। এ কারণে ক্লিনিকে ভর্তি করা হচ্ছেনা কোনো রোগী।

গত ২৬ জুন প্রতিষ্ঠান দু’টির বৈদ্যুতিক সংযোগের ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়।  এরপর থেকে অচলাবস্থা বিরাজ করছে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ক্লিনিকে।

অপরদিকে, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষসহ আবাসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবেতরভাবে বসবাস করছেন কোয়ার্টারে।

বিষয়টি জানতে রোববার রাতে যোগাযোগ করা হলে ২০ শয্যার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. রাজিয়া বেগম জানান, ২৬ জুন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসারত ৩ জন রোগীকে ছাড়পত্র দিতে তারা বাধ্য হয়েছেন।  পরবর্তীতে নতুন কোনো রোগী ভর্তি করা হচ্ছেনা।  ২০ শয্যার ক্লিনিক এখন রোগী শূন্য।  ডা. রাজিয়া বেগম ১০ দিনেও বিদ্যুৎ না পাওয়ার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংকট সমাধানে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।

পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ডা. গাজী সামছুল আলম জানান, ২৬ জুন একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার পুড়ে গেলে ইনস্টিটিউট এবং একই ক্যাম্পাসের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।  ওই দিন আরেকটি ট্রান্সফরমার বসিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হলেও সেটিও পুড়ে যায়।  ফলে ১০ দিন ধরে অচল হয়ে পড়েছে পরিবার পরিকল্পনা ইনস্টিটিউট এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।

ড. গাজী সামছুল আলম বলেন, তাদের বৈদ্যুতিক সরবরাহ ও অন্যান্য নির্মাণ কাজ পরিচালনা করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ।  বারবার তাদের তাগাদা দেওয়া হলেও তেমন একটা সাড়া মিলছে না।  

তিনি বলেন, রমজানে ইনস্টিটিউটের আবাসিক ভবনে থাকা ২৫ পরিবার দুঃসহ জীবন যাপন করছেন।

বরিশাল স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুর্শিদ জানান, তাদের কাছে নতুন কোনো ট্রান্সফরমার নেই। বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে চেয়েও পাননি বিদ্যু। তাই প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং মা ও শিশু কল্যাণ ক্লিনিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হয়নি।  তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে নতুন ট্রান্সফরমার বসিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে।

সাইফ আমীন/এমএএস/আরআইপি