কক্সবাজারে ডাকাতির পর দুই যুবককে অপহরণ
কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে আবারও ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা গাড়ির গতিরোধ করে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে দুইজনকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের গজালিয়া পানেরছরা ঢালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত অপহৃতদের উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের উদ্ধারে গহীন পাহাড়ে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপহৃতরা হলেন- রামু উপজেলা ঈদগড় ইউনিয়নের বাইতুশ শরফ এলাকার খুইল্যা মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন ও মৃত আছহাব মিয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিন (২০)।
সূত্র জানায়, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও বাস স্টেশন এলাকা হতে একটি সিএনজি অটোরিকশায় ও একটি মোটরসাইকেল যোগে ঈদগড়ের বাসিন্দারা রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরছিল। কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পাহাড়ি অংশ গজালিয়া পানেরছরা ঢালা এলাকায় পৌঁছা মাত্র ৮-১০ জন সশস্ত্র মুখোশধারী দুর্বৃত্ত রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। গাড়িগুলো দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের নামিয়ে প্রহারের পর সাথে থাকা নগদ প্রায় অর্ধলাখ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। যাবার সময় অপরাধীরা নুরুল আমিন ও হেলাল উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
সিএনজির যাত্রী আব্দুল্লাহ নামে একজন জানান, তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাহাড়ি সরু পথে হাঁটতে গিয়ে তিনি কৌশলে জঙ্গলে ঢুকে পালিয়ে আসেন। কিন্তু তার দুলাভাই নুরুল আমিনকে অপহরণকারীরা নিয়ে গেছে।
অপহৃত হেলাল উদ্দিনের চাচাতো ভাই সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন বলেন, আমার ছোট ভাই হেলাল জরুরি কাজ সেরে ঈদগাঁও থেকে মোটরসাইকেল যোগে ঈদগড়ে আসার পথে উল্লেখিত স্থানে অপহরণের শিকার হন। ঘটনাটি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মিনহাজ মাহমুদ বলেন, রাত ৮টা পর্যন্ত ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে পুলিশি টহল থাকে। এরপর সড়কটিতে স্বাভাবিক যান চলাচল নিষেধ। কোনো জরুরি যান চলাচল করতে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে দেয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার রাত ১০টার পর যাওয়া সিএনজি ও মোটরসাইকেলটি কোনো ধরনের সহযোগিতা না চাওয়ায় বিপদের মুখোমুখী হয়েছে। খবর পাওয়ার পর থেকে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
রামু থানার ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই মোরশেদ আলম জানান, ঘটনাস্থলটি আমার আওতার বাইরে। এরপরও ঈদগড় এলাকার বাসিন্দা অপহৃত হওয়ার খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট সিএনজিটি আটক করা হয়েছে। কারণ অনেক সময় সিএনজির কিছু অসাধু চালকরাও অপহরণকারীদের ইনফরমার হিসেবে কাজ করে। কক্সবাজার সদর থানা ও রামু থানার পুলিশ এবং কমিউনিটি পুলিশের সহযোহগিতায় অপহৃতদের উদ্ধারে গহীন পাহাড়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজুল হক টুটুল জানান, অপরাধীদের ছাড় দেয়া হবে না। সড়কটিতে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/আইআই