সুরবালার পায়ের শিকল খুলে দিল উপজেলা প্রশাসন
অবশেষে শিকল বন্দি জীবন থেকে মুক্ত হলেন সুরবালা রানী পাহান (৬৭)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাকে শিকলমুক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে তার বয়স্কভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) এসএম হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এটি একটি মানবিক বিষয়। সুরবালার সন্তানদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এখন থেকে যেখানে তারা যাবে, যেন তাদের মাকে সঙ্গে নিয়ে যায়। আগামী ডিসেম্বর থেকে সুরবালা বয়স্কভাতা পাবেন। এছাড়া সুরবালা যেন সুচিকিৎসা পায় সে ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। যেহেতু পরিবারটি দরিদ্র। এজন্য বয়স্কভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখান থেকে যে অর্থ পাবে, ইচ্ছে করলেই তার সন্তানরা সুরবালার চিকিৎসা করাতে পারে।
গত ১৯ নভেম্বর ‘শিকলে বাঁধা সুরবালার জীবন’ শিরোনামে জাগো নিউজে সংবাদটি প্রকাশ হলে প্রশাসনের নজরে আসে।
সুরবালার বড় মেয়ে জিরো পাহান বলেন, হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে মাকে শিকলের বেড়ি পরিয়ে রেখেছিলাম বলে খুবই কষ্ট হতো। নিজেদেরও খারাপ লাগত। মা মুক্ত হয়েছে। এখন খুবই ভালো লাগছে। আরও ভালো লাগছে মায়ের নামে বয়স্কভাতার কার্ড হওয়াতে।
উল্লেখ্য, হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে গত তিন বছর থেকে দুই পায়ে শিকলের বেড়ি পরিয়ে রাখে ছয় সন্তানের জননি সুরবালাকে তার সন্তানরা। তিনি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বড় মহেষপুর (জঙ্গিপাড়া) গ্রামের মৃত কালু পাহানের স্ত্রী।
আব্বাস আলী/এমএএস/পিআর