ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বি.বাড়িয়ায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার

প্রকাশিত: ০৫:৩০ এএম, ০১ জুলাই ২০১৫

ঈদের আরো ১৭ দিন বাকি। তবে এরই মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঈদবাজার। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে ভিড় জমাচ্ছেন জেলা শহরের বিপণি বিতানগুলোতে। সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিপণি বিতানগুলোতে চলছে বেচাকেনা।

প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে নতুন কাপড়ের যেন জুড়ি নেই। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সিটি সেন্টার, পৌর সুপার মার্কেট, আশিক প্লাজা, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট, এফএ টাওয়ার, বি.বাড়িয়া টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সসহ ছোট-বড় অন্তত ১৫টি শপিংমল। এসব শপিংমলগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী পছন্দসই কাপড় ও সাশ্রয়ী দাম হওয়ায় খুশি ক্রেতারা। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী বেচাকেনা কিছুটা কম হলেও ২০ রোজার পর থেকে বেচাকেনা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।

এ বছর মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে থ্রীপিছ কিরণমালা, মিসরি, ফ্লু-টাস (লং), পাঞ্জাব ইত্যাদি ব্র্যান্ডের কাপড়। আর মেয়ে শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে চায়না ও থাই ফ্রক। অন্যদিকে ছেলেদের প্রথম পছন্দ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পোশাক (মোদি ড্রেস)। তবে দেশীয় তৈরি জামাও বিক্রি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিপণি বিতানগুলোতে।

সিটি সেন্টারস্থ ফ্যাশন ওয়াল্ডের স্বত্ত্বাধিকারী মো. মোখলেছুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, এ বছর কিরণমালা, ফ্লু-টাস (লং) জামা বেশি বিক্রি হচ্ছে। কিরণমালা জামা বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা, ফ্লু-টাস (লং) ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা, পাঞ্জাব ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা ও মিসরি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। তিনি আরো জানান, এ বছর বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই। তবে ২০ রোজার পর বেচাকেনা আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।

স্বপ্নলোকে ফ্যাশন হাউসের স্বত্ত্বাধিকারী আসিফ ইকবাল জাগো নিউজকে জানান, আমাদের এখানে মোদি ড্রেস বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা, মেয়ে শিশুদের চায়না ফ্রক ১ হাজার থেকে ২,২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী তেমন বিক্রি হচ্ছে না। আমরা আশা করছি ১৫/২০ রোজার পর বিক্রি বাড়বে।

কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জাগো নিউজকে বলেন, বিপণি বিতানগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী পছন্দমতো সব ধরনের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া প্রিয়জনদের জন্য সাশ্রয়ী দামে কাপড় কিনতে পেরে তারাও অনেক খুশি।

এদিকে ঈদবাজারকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষ যেন নির্বেঘ্নে কেনাকাটা করতে পারেন সে লক্ষ্যে সব বিপণি বিতানগুলোর আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ঈদবাজারকে কেন্দ্র করে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মাঠে অতিরিক্ত পুলিশ কাজ করছে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঈদের দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানান জেলা পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

এসএস/এমএস