এমপিকে কিডনি দিলেন শ্রমিকলীগ নেতা
খুলনা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদী সুজাকে কিডনি দিলেন শ্রমিক লীগ নেতা মো. আলম হাওলাদার। সোমবার সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক ছাত্র নেতা চৌধুরী রায়হান ফরিদ। তার দুটি কিডনি পুরোপুরি ড্যামেজ হয়ে গিয়েছিল।
এদিকে রাজনৈতিক নেতাকে ভালোবেসে তার জীবন বাঁচাতে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ (কিডনি) দানের মধ্যদিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত গড়েছেন বলে এলাকায় এখন আলোচনায় শ্রমিক লীগ নেতা মো. আলম হাওলাদার। তিনি রূপসার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের একজন সদস্য।
অবস্থায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আ.লীগ নেতা এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার কিডনি দাতার নাম মো. আলম হাওলাদার। জেলা শ্রমিক লীগের একজন কর্মী তিনি। কিডনিদাতা মো. আলম হাওলাদার তার ছেলে পারভেজ হাওলাদার এবং স্ত্রী বর্তমানে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে অবস্থান করছেন।
হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা মো. আলম হাওলাদরের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে বাবা কিডনি দানের বিষয়ে ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার জানান, এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার মতো একজন গুণী রাজনীতিবিদের জীবন বাঁচাতে আমার বাবা যখন নিজের কিডনি দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখনও বিষয়টি আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। কিন্তু যখন সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আমার বাবার কিডনিই প্রতিস্থাপনের জন্য (ফিটনেস রিপোর্ট) মনোনীত হয় মূলত তখন থেকে আমার মধ্যে অন্য রকম একটা ভালোলাগা কাজ করতে শুরু করে। নিজেকে ওই বাবার সন্তান হিসেবে ভাবতে অনেক গর্ববোধ করছি। নেতা এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা ও বাবার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন জেলা ছাত্রলীগের এ নেতা।
জেলা আ.লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা সারাজীবন ধরে রাজনীতি করে আসছি কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য। জীবনের একটি দুঃসময়ে একজন নেতা তার কর্মীর কাছ থেকে এ রকমই প্রাপ্তি আশা করেন। এমপি সুজার জন্য কিডনি প্রদান করে শ্রমিক লীগ নেতা আলম হাওলাদার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। দু’জনেরই সুস্থতার জন্য তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস আগে মোস্তফা রশিদী সুজা এমপির দুটি কিডনিই ড্যামেজ হয়ে গেছে বলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে। সেই থেকেই তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে গত মাস আগে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়।
আলমগীর হান্নান/এমএএস/আরআইপি