ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বর্ণিল সাজে সেজেছে সিলেটের বিপণী বিতানগুলো

প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ২৯ জুন ২০১৫

রমজানের ঈদকে সামনে রেখে বর্ণিল সাজে সেজেছে সিলেটের বিপণী বিতানগুলো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মার্কেটের সুন্দর্যবর্ধন ও ঝালকানিতে নতুনরূপ পেয়েছে নগরের অভিজাত থেকে শুরু করে সাধারণ মানের বিপণীবিতানগুলোও। এখনো ঈদের বাকী আরও ১৯ দিন। তবে এরই মধ্যে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে কেনাকাটা শুরু হয়েছে। চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত।

ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের টানতে ব্যবসায়ীরাও নিয়েছেন নানান লোভনীয় উদ্যোগ। নির্দিষ্ট দামের পণ্য কিনলেই প্রাইভেট কার থেকে শুরু করে নানান উপহার সামগ্রীর অফার দেয়া হচ্ছে। তবে এসব উদ্যোগ ও লোভনীয় অফারে ক্রেতারা স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুললেও ব্যবসায়ীরা বলছেন স্বচ্ছতাও জবাবদিহিতা রয়েছে। এ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলে প্রতি বছর রমজানের ঈদে শত কোটি টাকার কেনাকাটা হয়। পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রবাসীরাও ছুটে আসেন আপন আঙ্গিনায়।



সিলেট নগরের অভিজাত বিপণিবিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম আল-হামরা শপিং সিটিতে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকার কেনাকাটা করলে টয়োটা প্রাইভেট কারসহ ২৫ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার নগরের অভিজাত বিপণীবিতানগুলোর মধ্যে আল-হামরা শপিং সিটি, ব্লুওয়াটার শপিংসিটি, সিটি সেন্টার, কাকলী, মিলেনিয়াম ও বন্দরবাজারের করিমউল­াহ শপিং সিটি ঘুরে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা ধোঁয়া-মোছা থেকে শুরু করে কাপড়-চোপরের বাইল (তাক) সাজানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে পার্ট-টাইম কর্মী নিয়োগ দিয়েছে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।  ক্রেতাদের দুর্ভোগ কমাতে ও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে তাদের চেষ্টার কমতি নেই।



আল-হামরা শপিংসিটিতে মেয়েকে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা লাবীবা মাহবুব বলেন, প্রতি বছরেই সাধারণত দশ রমজান হলেই আমরা কেনাকাটা শুরু করি। তবে আজকে ট্রায়াল ও পছন্দের কাপড়-চোপরগুলোকে পরখ করে দেখে নেয়ার জন্য বের হয়েছি।  আশা করি ১৫ রমজানের মধ্যেই শপিংয়ের কাজ শেষ করবো।

এ শপিংমলেই কথা হয় কেনাকাটা করতে আসা একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী আশরাফ জুবায়েরের সাথে। তিনি জানান ১০-১৫ রমজানের মধ্যেই তিনি কেনাকাটা করেন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তিনি পাঞ্জাবী কিনেছেন। তিনি বলেন, গুণগত মান ও পছন্দের কাপড়- চোপড় কেনার জন্য তিনি আগেভাগেই শপিং শুরু করেন।

ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান রিপন বলেন, ক্রেতা সাধারণের চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা। ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা ও উত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সম্মানিত ক্রেতাদের সেবা নিশ্চিত করা আমাদের ব্যবসায়ীদের অঙ্গীকার।



তিনি জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও এ মার্কেটে ক্রেতাদের সুবিদার্থে ৪০ জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া সর্বনিম্ন ৫০০ টাকার পণ্য ক্রয় করলেই পাচ্ছেন টয়োটা গাড়ি, মোটরসাইকেল, টিভিসহ ২৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার।

নগরের সিটি সুপার মাকের্ট, কাকলী শপিং সিটি, মিলেনিয়াম ও ব্লু-ওয়াটার শপিংসিটি ঘুরে দেখা যায় ঈদকে সামনে রেখে নিত্যনতুন কাপড়-চোপড়ের সম্ভার সাজিয়ে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের  দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় ভালো বেচা কেনার প্রত্যাশা করছি। কারণ রমজানের শুরু থেকেই ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ঈদকে সামনে রেখে উজ্জ্বল রং ও হালকা রংয়ের প্রাধান্য রয়েছে।  তবে ক্রেতারা দেশীয় পোষাকের উপরেই বেশি ঝুঁকছেন।

এমএএস/আরআই