বগুড়ায় ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন
বগুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ওষুধ ব্যবসায়ীকে মারপিটের অভিযোগ এনে কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি বগুড়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এসময় তারা ৩ ঘণ্টা দোকান বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার বগুড়া শহরের খান মার্কেটের ২য় তলায় ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি’র উপস্থিতিতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এসময় আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিরিন সুলতানাসহ পুলিশ সদস্য, আমর্ড পুলিশ ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ওষুধের দোকানে তল্লাশির খবরে রাজু ফার্মেসি নামের একটি দোকান বন্ধ করে তার মালিক চলে যাবার চেষ্টা করেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে দোকান বন্ধ করতে নিষেধ করে। পরে দোকান মালিক জোর করে দোকান বন্ধ করতে গেলে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ নিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠলে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখান থেকে চলে যায়। পরে ওষুধ ব্যবসায়ীরা সব দোকান বন্ধ করে দিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের সমস্ত ওষুধের দোকান ৩ ঘণ্টা বন্ধ করে রাখে।
কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে রাজু নামের এক মালিক তার দোকান বন্ধ করতে গেলে আদালতের সাথে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে অন্যায়ভাবে মারপিট করে। মারপিটে তিনি আহত হন। একই সময় খায়রুল ও রাকিব নামের আরো ২ কর্মচারীকেও মারপিট করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিরুদ্ধে এই আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও দোকান বন্ধ রাখা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই মার্কেটে নকল ওষুধ বিক্রি করা হয়। এই অভিযোগে সেখানে আদালত পরিচালনাকালে অসাধু দোকান মালিকরা ইচ্ছে করে হৈ চৈ শুরু করে। তারা মারপিট করার মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
লিমন বাসার/এসএস/আরআই