ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত জামালপুরের সূচি শিল্পীরা
নকশী কাঁথা, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, শেরোয়ানিসহ জামালপুরের নারী কর্মীদের হাতে তৈরি নানা নকশী পণ্যের সুনাম ইতোমধ্যেই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বাইরে। দেশ-বিদেশে চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে ব্যাপকভাবে প্রসার ঘটেছে এখানকার হস্তশিল্পের। আর ঈদকে সামনে রেখে এখানকার নকশী পণ্যের চাহিদাও অনেক গুণ বেড়ে গেছে। ঈদে নকশী সূচি পণ্যের বিপুল চাহিদা মেটাতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলার সূচি শিল্পীরা।
জামালপুর জেলায় সবমিলিয়ে অর্ধ লাখের বেশি নারী কর্মী জড়িয়ে আছেন নকশী সূচি শিল্পের সঙ্গে। সুই-সুতায় নানা ডিজাইন, রঙ আর বর্ণে তারা ফুটিয়ে তুলছেন নকশী কাঁথা, বেড কভার, শাড়ি, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজসহ নানা সূচি পণ্য। উন্নতমানের এখানকার নকশী সূচিপণ্য ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের সব বড় শহরের বাজার দখল করেছে। একই হারে এই পণ্যের প্রসার ঘটেছে বিদেশেও।
ঈদকে সামনে রেখে এখানকার নকশী পণ্যের বিপুল চাহিদা মেটাতে এখন দিন-রাত কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাদের। বাড়তি দু`পয়সা আয়ের জন্য কর্মীরা কাজ করছেন রাত জেগেও। নিজের খরচ আর ঈদে বেশি আয়ের আশায় স্কুল ছাত্রীরাও জড়িয়ে পড়েছে এ কাজে।
এবার ঈদে দেশের বড় বড় শহরের শো-রুমের জন্য নতুন নতুন নকশার নকশী কাঁথা, বেডকভার, শাড়ি, লেহেঙ্গা, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতোয়া তৈরি হচ্ছে। এসব পণ্যের বিপুল চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মাঝারি উদ্যোক্তাদের।
উদ্যোক্তারা বলছেন, সুতা ও কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে দাম রয়েছে ক্রেতার নাগালের মধ্যেই। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। এবার জামালপুরের নকশী কাঁথা বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ৭০০০ টাকায়। বেডকভার ১২০০ থেকে ৫০০০ টাকা, কুশন কভার ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা, পিলু কভার ৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা, শাড়ি ১৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা, পাঞ্জাবি সুতি ৮০০ থেকে ৪০০০ টাকা, সিল্ক ১৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা, থ্রি-পিস ৮০০ থেকে ৫০০০ টাকা, টু-পিস ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা, ফতুয়া ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা, কটি ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা, ওয়ালমেট ৪০০ থেকে ৪০০০ টাকা, ব্যাগ ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পার্স ২৫ থেকে ৩০০ টাকা, শিশু ফ্রক ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় পাওয়া যাবে।
শুভ্র মেহেদী/এমজেড/আরআই