ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফারিয়ার জয়, সেই শিক্ষকের বদলি

প্রকাশিত: ১০:২৯ এএম, ২৯ জুন ২০১৫

অবশেষে ফারিয়া ইসলাম মিম জয়ী হয়েছেন! এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল জটিলতায় শিক্ষামন্ত্রীসহ নড়াইলবাসীর আন্দোলন সংগ্রাম করে ফারিয়া ইসলাম মিম জিপিএ-৫ পেয়েছে।

রোববার তার এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।  এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাগেরহাট বদলি করা হয়েছে।

ফারিয়ার মা সাবিনা আক্তার শিল্পী জাগো নিউজকে জানান, অবেশেষে আমার মেয়ে ফারিয়া জিপিএ-৫ পেয়েছে, গোল্ডেন এ প্লাস পেলে খুশি হতাম।  তিনি আরো জানান, রোববার  বিকেলে মেয়ের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

ফারিয়া ইসলাম মিম জাগো নিউজকে বলে, আমি খুব খুশি হয়েছি।  তবে, গোল্ডেন এ প্লাস পেলে আরো ভালো লাগত।

এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক ফসিয়ার রহমানকে বাগেরহাটের একটি সরকারি বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।

নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনিরা সুলতানা জাগো নিউজকে জানান, ফসিয়ার রহমানকে ‘জনস্বার্থে বদলি’ করা হয়েছে।  বদলির আদেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ‘জনস্বার্থে বদলি’র কথা উল্লেখ করেছেন।

ফারিয়ার বাবা জহিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ফারিয়া পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিসহ প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কখনো প্রথম, কখনো দ্বিতীয়স্থান অর্জন করে এসেছে।

বিষয়টি নিয়ে নড়াইলবাসীসহ ফারিয়ার সহপাঠীরা মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ, জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখা করে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।  গঠন করা হয় একাধিক তদন্ত কমিটি।

উল্লেখ্য, নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এক অভিযোগে জানান, ২০১২ সালে অভিযুক্ত ফসিয়ার রহমান নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করাকালীন সময়ে ফারিয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিত।  বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ও কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয় এবং তা প্রমাণিত হওয়ায় ফসিয়ারকে মেহেরপুরে একটি স্কুলে বদলি করা হয়।  কয়েক মাস পূর্বে সে নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর পরই এসএসসি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য হয়।

তিনি জানান, আমার মেয়ের প্রতি আক্রোশ থাকায় অভিযুক্ত শিক্ষক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরিক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির অন্য শিক্ষকদের ফারিয়ার প্রতি কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিতেন। এমনকি বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষককে প্রাকটিক্যালে ফেল করিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন।

নড়াইল বালক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিজ্ঞান বিভাগের ফিজিক্সে ৩২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সবাই প্রাকটিক্যালে ২৫ নম্বর করে পেলেও শুধু ফারিয়া কিভাবে ২৫ নম্বরের মধ্যে ১৫ নম্বর পেল তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় ? এছাড়া পরীক্ষার উত্তরপত্র কাটাকাটি করা, অতিরিক্ত পত্র ছিড়ে ফেলা, বহু নির্বাচনী পরীক্ষার সেট কোড পরিবর্তন করাসহ বিভিন্নভাবে পরীক্ষার ফলাফলে প্রভাবিত করেছে বলে অভিযোগ উঠে।

হাফিজুল নিলু/এমএএস/আরআইপি