পাচার হওয়া শিশুকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী কলারোয়া থানার ভাদিয়াল গ্রামের শিশু মুস্তাকিম হাসান আপনকে (৩) অচেতন করে পাচার করা হয় ভারতে। গত শনিবার থানায় এমন অভিযোগ করেন শিশুটির মা নাসরিন সুলতানা।
তিনি কলারোয়া উপজেলার ভাদিয়াল গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। তিনজন এজাহারনামীয় ও ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে তিনি থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মামলার বাদী নাসরিন সুলতানাকে পানির সঙ্গে অচেতন করা ওষুধ সেবন করিয়ে তিন বছরের শিশু ছেলে মুক্তাকিম হোসেন আপনকে পাচারের জন্য ভারতে নিয়ে গেছে।
অভিযোগ পাওয়ার ঘটনাটি মানব পাচার দমন আইনে একটি মামলা এজাহারভুক্ত করে শিশু মোস্তাকিমকে উদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু করে কলারোয়া থানা পুলিশ।
কলারোয়া থানা পুলিশের (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ তাৎক্ষণিক বাংলাদেশ ভারত সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের সঙ্গে জরুরিভাবে পতাকা বৈঠকে মিলিত হন। একই সঙ্গে সকলে মিলে শিশু মোস্তাকিমকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেন ও উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করেন।
অবশেষে সোমবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ৭৬ বিএনবিএসএফ বিওপি বিথারিদের মাধ্যমে ভারতের হামিকপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে পাচার হয়ে যাওয়া শিশু মুস্তাকিমকে উদ্ধার করা হয়।
এরপর বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত এলাকা কলারোয়া থানাধীন সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নস্থ ভাদিয়ালী এক নং পোস্ট নামকস্থানে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৩৮/ই কোম্পানি মাদরা বিওপির বিজিবি সদস্যদের মাধ্যমে সোমবার রাতে শিশু মোস্তাকিমকে কলারোয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
কলারোয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু করা হয়। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। অবশেষে তাকে উদ্ধার করে সোমবার রাতে শিশুটির মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাছাড়া মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিকে, শিশু মোস্তাকিম হাসান আপনের মা নাসরিন সুলতানা বলেন, পুলিশের কারণে আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেয়েছি। পুলিশ প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।
আকরামুল ইসলাম/এএম/জেআইএম