ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

যানজটে নাকাল বরিশাল নগরবাসী

প্রকাশিত: ০৪:৫৯ এএম, ২৯ জুন ২০১৫

চলতি সপ্তাহে বরিশাল নগরীতে বেড়ে গেছে যানজট। নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে দিনের বেশিরভাগ সময় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। অবৈধ অটোরিকশা এবং পানির পাইপলাইন স্থাপনের জন্য নগরীর সর্বত্র রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করায় যানজট দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

এমন অবস্থায় আগামী ১ জুলাই থেকে নগরীতে অবৈধ অটোরিকশা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)।
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা কমে গেলে ঈদ বাজারে ক্রেতার আগমন শুরু হয়েছে। ফলে নগরীর চকবাজার, সদর রোড, কাকলীর মোড়, জেলখানার মোড়সহ কয়েকটি এলাকায় সকাল ১০টার পরই যানজট শুরু হয়। বিকেল ৩টার পর যানজট কমলেও একই অবস্থার পুনারবৃত্তি ঘটে সন্ধ্যার পরে। নগরীতে যানজটের জন্য প্রধানত দায়ী করা হয় অটোরিক্সার বেপরোয়া চলাচল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বিসিসি লাইসেন্সপ্রাপ্ত অটোরিকশা রয়েছে ২৬১০টি। কিন্ত নগরীতে কী পরিমাণ অটোরিকশা রয়েছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই কারো কাছে। ধারণা করা হচ্ছে ৮ সহস্রাধিক অটোরিকশা চলছে নগরীতে। এগুলোর নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল এবং যেখানে-সেখানে দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলায় নগরীর সবগুলো সড়কেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। লঞ্চঘাট, নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, রূপতালী বাস টার্মিনাল, জেলখানার মোড়, সিঅ্যান্ডবি রোড চৌমাথায় অটোরিকশার অঘোষিত পার্কস্ট্যান্ডের কারণে ওই পথ দিয়ে যানবহন চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে।

বিসিসির যানবাহন শাখার সুপারেটেন্ডেট মোঃ. মাইনুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, তারা অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে নগরীতে মাইকিং করেছেন। ১ জুলাই থেকে অবৈধ অটোরিকশা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।

এদিকে, বিসিসির ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পের পানি সরবরাহ পাইপ স্থাপনের জন্য নগরীর সবগুলো সড়ক খোঁড়াখুুঁড়ি করায় যানজটের অন্যতম কারণ চিহ্নিত করেছেন সাধারণ জনগণ। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমের মধ্যে নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোড, ফকিরবাড়ি রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো খোঁড়াখুঁড়ি করায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিসিসির পানি শাখার প্রধান প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম স্বপন জাগো নিউজকে জানান, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ করাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। কাজ শেষে প্রকল্পটি বিসিসির কাছে হস্তান্তর করা হবে। জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য সড়কের নিচে পাইপ স্থাপনে ঠিকাদার তড়িঘড়ি করছিল। ঈদ মৌসুমে যানজটের বিষয়টি বিবেচনায় এনে সদর রোডে পাইপ স্থাপনের কাজ বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাইফ আমীন/এমজেড/এমএস