ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অব্যাহত বর্ষণে বিপর্যস্ত যশোরের জনজীবন

প্রকাশিত: ১২:১৫ পিএম, ২৮ জুন ২০১৫

অব্যাহত বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যশোরের জনজীবন। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন গোটা জেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ। সপ্তাহখানেক ধরে যশোরে থেমে থেমে আষাঢ়ের বৃষ্টি শুরু হলেও গত তিনদিন ধরে তা ভারী বর্ষণে রূপ নিয়েছে। এতে শহরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাটও। ফলে চরম দুর্ভোগ বড়েছে মানুষের।

যশোরস্থ বিমান বাহিনীর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত থেকেই যশোরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত যশোরে ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া শনিবার এখানে ২৫ মিলিমিটার ও শুক্রবার ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

যশোর শহর ঘুরে দেখা গেছে, ভারী বর্ষণে শহরের বেজপাড়া, শংকরপুর, মিশনপাড়া, উপশহর, চাঁচড়া, কারবালা, এমএম কলেজ এলাকা, টিবি ক্লিনিকপাড়া, নাজির শংকরপুর, বকচর, আবরপুরসহ শহরের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার ড্রেন ছাপিয়ে উপচে পড়া পানি সড়ক পার হয়ে ঘরের মধ্যেও ঢুকে পড়েছে। ভেসে গেছে বিভিন্ন এলাকার পুকুর ও মাছের ঘের। এসব মাছ ছড়িয়ে পড়ায় ড্রেন ও সড়কের উপরেই সৌখিন মৎস্য শিকারীদের তৎপরতাও দেখা গেছে।

শহরের বেজপাড়া এলাকার মর্তুজা চৌধুরী জানান, শনিবার ও রোববারের বৃষ্টিপাতের পর পানি তার ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এমনটা এর আগে কখনও হয়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্ষার সময় ওই এলাকার সড়ক ও ড্রেনের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় ড্রেন আটকে দেওয়া হয়েছে। এজন্য পানি নামতে না পারায় গোটা বেজপাড়া এলাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

যশোর এমএম কলেজের শিক্ষার্থী জহির উদ্দিন নান্নু জানান, এমএম কলেজের দু`পাশের গেটেই হাঁটু পানি জমেছে। ফলে অনেক শিক্ষার্থী কলেজ গেট পর্যন্ত এসেই আবার বাড়ি ফিরে গেছেন।

শহরবাসীর অভিযোগ, বর্ষার আগে শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার না হওয়া এবং বিভিন্ন এলাকায় বর্ষাকালে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলায় গোটা শহরের পানি নিষ্কাশন স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে ড্রেনের পানি উপচে এখন সড়কের ওপরে ঢেউ খেলছে।

এ ব্যাপারে যশোর পৌরসভার সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, পৌর এলাকার ড্রেন সংস্কার ও নির্মাণের কাজ চলায় কোনো কোনো এলাকায় পানি নিষ্কাশন কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে বৃষ্টি থেমে গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিলন রহমান/এআরএ/আরআই