টানা বর্ষণে বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া ব্যাহত
টানা বৃষ্টিতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে জমে থাকা পানি ও কাদায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। এতে বন্দরে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঠিকমতো কাজ করতে ও আসতে না পারায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্যেও অনেকটা স্থবিরতা নেমে এসেছে।
জানা গেছে, দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে বৃষ্টির পানি ঢুকে শেডে থাকা লাখ লাখ টাকার আমদানিকৃত মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ এক যুগ আগে নির্মিত বন্দরের বেশিরভাগ শেড ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। বার বার জানানো হলেও এগুলো সংস্কার বা নতুন শেড নির্মাণে বন্দর কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে বন্দরের অভ্যন্তরে উন্নয়ন কাজ করায় প্রতি বছর বন্দরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ নিয়ে বিভিন্ন বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেন না তারা। টানা চার পাঁচদিনের বৃষ্টিতে বন্দরের অভ্যন্তরে পানি জমে গেছে। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো অচল হয়ে পড়ায় বন্দরের অভ্যন্তরে পানি ও কাদা জমে আছে। বন্দর সড়কের দু’ধারে হাঁটু সমান কাদা জমে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে পণ্য খালাসে দেখা দিয়েছে মারাত্মক সমস্যা।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল বন্দরে ৩৫টি শেড রয়েছে। এছাড়া কেমিক্যাল রাখার জন্য আলাদা ৪টি শেড রয়েছে। এসব শেডের বেশিরভাগই ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়ায় বন্দরে মধ্যে পানি ঢুকে পড়ে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, বন্দর থেকে প্রতি অর্থবছর সরকার প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকেন। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী উন্নয়ন হয়নি এখানে। অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজ করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরের অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সুজন জানান, আমরা বন্দরের পরিচালককে দ্রুত বিষয়টি সমাধানে পদক্ষেপ নিতে বলেছি। তা না হলে বৃষ্টিতে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। বন্দরের অধিকাংশ শেড জরাজীর্ণ। অনেক শেডে টিন দিয়ে পানি পড়ে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কাজের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু কাজ শুরু হয়েছে।
মো. জামাল হোসেন/এসএস/পিআর